সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফকির লালন সাঁইজির ২৫০ বছর আবির্ভাববর্ষ উপলক্ষে শেরপুরে তিন দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ে ফকির লালন সাঁইজির স্মরণে বাংলাদেশ-ভারত বাউল সংগীত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ থেকে ২২ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই উৎসবে ভারতের পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলার এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাউল শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
“মানুষের করণ সে কি সাধারণ, জানে কেবল রসিক যারা” লালনের এ বাণীকে সামনে রেখে বিশ্ব লালন সংঘ এর আয়োজনে এবং ভারতীয় দূতাবাস এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ-ভারত ৯ দিনব্যাপী বাউল সংগীত উৎসব এর অংশ হিসেবে ২০ থেকে ২২ মে তিন দিনব্যাপী শেরপুরে অনুষ্ঠিত হলো বাউল সংগীত উৎসব।
প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সংগীত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ভারতের পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলার এবং শেরপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার লালন সংগীত শিল্পী এবং ভক্ত কুলেরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাউল শিল্পীরা লালনের নানা দর্শন চিত্র তুলে ধরে সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংগীতের ফাঁকে ফাঁকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় ভারত এবং বাংলাদেশ থেকে আগত বাউল শিল্পীরা জানায় লালন ছিলেন সর্ব দর্শনের দর্শন। আর ভাবধারা ও দর্শন সারা বিশ্বের ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এই আয়োজন।
বাংলাদেশ ও ভারতের আয়োজকরা মনে করেন লালনের দর্শন এর পাশাপাশি তার গান সারা বিশ্বজুড়ে প্রচারের উদ্দেশ্যে এর আয়োজন এবং এই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের তিন জেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে লালন সংগীত উৎসব। গত ১৭ থেকে ১৯ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকায় এবং দ্বিতীয় দফায় ২০ থেকে ২২ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হলো শেরপুর জেলায়। এরপর গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে এই লালন সংগীত উৎসব।
ভারতের পশ্চিমবাংলা থেকে নিমাই খেপা, প্রমিলা বিশ্বাস ও শ্যাম সুন্দর দাস বাউল লালন সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া শেরপুর সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লালন সংগীত শিল্পীরা এই উৎসবে সংগীত পরিবেশন করেন। সন্ত্রাসমুক্ত, জঙ্গিবাদ মুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে লালনের দর্শন ও ভাবধারার বিকল্প নেই বলে জানায় লালন গবেষক ও বিশ্ব লালন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মান্নান। এছাড়া তিনি লালন এর জন্মজয়ন্তী ও প্রয়াণ দিবস সহ নানা কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করা দাবি জানান সরকারের কাছে।
সত্য বল সুপথে চল, মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি অথবা সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। লালনের এসব বাণী, এ দর্শনকে সকলের বুকে ধারণ করলেই সমাজের হানাহানি বন্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব বলে জানান লালন ভক্ত ও সচেতন মহল।
এম