সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কাটেনা সময় যখন আর কিছুতে...বন্ধুর টেলিফোনে মন বসে...জানলার গ্রিলটাতে ঠেকাই মা...মনে হয় বাবার মত কেউ বলে...আয় খুকু আয়...হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী মজুমদারের গাওয়া এই গান সন্তানদের মনে বাবার অভাব মনে করিয়ে দেয়।
আবার ছোট্ট মেয়ে জাইমা নূরের গাওয়া ‘বাবা মানে হাজার বিকেল...আমার ছেলে বেলা...বাবা মানে রোজ সকালে...পুতুল পুতুল খেলা...বাবা মানে কাটছে ভালো...যাচ্ছে ভালো দিন...বাবা মানে জমিয়ে রাখা...আমার অনেক ঋণ’ গানটি শুনে চোখ ছলছল হয়ে ওঠেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আজ রবিবার, ১৬ জুন ‘বিশ্ব বাবা দিবস’। প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বের প্রায় ১১১টি দেশ বাবা দিবস পালন কর হয়। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এর প্রচলন হয়। পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকেই যার শুরু। মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
১৯০৮ সালের ৫ জুলাই প্রথমবার বাবা দিবস পালিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর এই দিবস পালনের রীতি চালু করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বের প্রতিটি অংশেই বাবা দিবস উদযাপন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী উদযাপিত এই দিনটার সকল পরিকল্পনা হয় বাবাদের ঘিরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভরে যায় তাদের সাথে সুন্দর সব মুহূর্তের ছবি আর গল্পে। অনেকেই কেক কাটেন, কিংবা পরিবারের সকলে মিলে খেতে যান নামী কোনো রেস্টুরেন্টে। এসবের মাঝে বাবা দিবসের উদযাপনের আরেকটি বিশেষ দিক থাকে বাবার জন্য বিশেষ কোনো উপহার।
ছোটবেলা থেকে যিনি শত আবদার পূরণে আমাদের হাজারও উপহার দিয়ে আসছেন, তার জন্য উপযুক্ত উপহার খুঁজে বের করার কাজটি অনেকের জন্যই কঠিন। কখনও জামাকাপড়, তার প্রিয় বই অথবা তার পছন্দের গ্যাজেট –। সময়ের সঙ্গে উপহারের তালিকাও ছোট হয়ে আসে। আবার অনেকের কর্মব্যস্ততার মাঝে উপহার নিয়ে লম্বা প্ল্যান করার কথা খেয়াল থাকে না।
কিন্তু বাবা দিবসে বাবাকে কিছু উপহার না দিলে তো চলেই না। তাই হালের অনলাইন মার্কেটপ্লেস আর ডিজিটাল শপগুলো এক্ষেত্রে অনেকেরই শেষ মূহুর্তের প্ল্যানের অংশ হতে পারে। যেমন ফুডপ্যান্ডার ‘শপস’ যেখানে ইউনিমার্ট, মিনা বাজার, আমানা বিগ বাজার ও দেদার সুপার শপ-সহ জনপ্রিয় বিভিন্ন আউটলেট থেকে যেকোনো পছন্দের গিফট আইটেম অর্ডার করা যেতে পারে।
এছাড়া শপস থেকে –বাবাদের পছন্দের খাবার, ব্যক্তিগত প্রসাধনী অথবা প্রিয় লেখকের কোনো বই অর্ডার করা যেতে পারে। আবার বাবা দিবসের বিকল্প উপহার হতে পারে চশমা, ফটো ফ্রেম, তার প্রিয় গানের সংগ্রহ অথবা সুন্দর কোনো পেইন্টিং। সাথে একটু ফুলেল ভালোবাসা যোগ করতে চাইলে তাও পাচ্ছেন পুষ্প ক্রিয়েটিভ ও আমোর ফ্লাওয়ার শপের মত দোকানগুলোতে। এছাড়া শাহবাগেও রয়েছে অসংখ্য ফুলের দোকান। আর গতানুগতিক গিফট আইটেমসের বাইরে কোনো প্রিয় স্ন্যাক্স আইটেম, এমনকি বাবার প্রতিদিনের প্রয়োজনের ঔষধটিও চাইলে কেনা যায় এই প্ল্যাটফর্মে। পৃথিবীর সব সন্তানেরা বাবার জন্য সামান্য কিছু করতে পারলেও যেন আনন্দ পায়।
এস