সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন। যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সুখী-সুন্দর সৌহার্দ্যপূর্ণ দাম্পত্য জীবন আমাদের সকলেরই কাম্য। বিয়ের মধ্য দিয়ে দু’টি মানুষের একসঙ্গে পথচলার শুরু। আর সেই চলার পথে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, যত্ন, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধার প্রয়োজন। আর বিয়ে মানেই জীবনের নতুন চ্যালেঞ্জ, যা থেকে পালিয়ে বেড়ালে হবে না। বরং তার মুখোমুখি হয়ে জীবনকে সুন্দর করতে হবে। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে, কেন কিছু দম্পতি বছরের পর বছর সুখী জীবন পার করতে পারে। যেখানে অনেক দম্পতিই ব্যর্থ হয়ে যায়? আসলে বিয়ের পরে অনেকেই সঙ্গীকে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে ভুলে যায়। সেখান থেকেই শুরু হয় সমস্যা। চলুন সুখী দম্পতিরা কেন সুখী হয় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রথম শর্ত পারস্পরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস। সঙ্গীকে তার যোগ্য সম্মান প্রদান করা। তার প্রতি আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া। ভালোবাসার প্রতিদানে প্রত্যাশা কম রাখা। ভালোবাসার মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং পছন্দে অনধিকার চর্চা না করা। কিন্তু, ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ না করার মতো উদারতা খুব কম মানুষেরই থাকে। তবে, সম্পর্ক ভালো রাখতে এমন হওয়াই উচিত।
সুখী দম্পতিরা সব সময় একে অপরকে প্রথমে রাখে এবং একটি দল হিসাবে একসঙ্গে কাজ করে। তারা তাদের পরিবারের কাছে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে না বা জীবনের সব সিদ্ধান্ত নিতে তাদের পরিবারের দ্বারা প্রভাবিত হয় না। একে অপরের সঙ্গে স্পষ্টভাবে কথা বলে। তারা সব বিষয়ে পরিবারকে ডেকে আনে না। দুই পরিবারের কাছে নিজেদের কিছু গোপনীয়তা বজায় রাখে। কারণ তারা দু’জন মিলে গঠন করেন একটি নতুন পরিবার।
দম্পতিরা শুধু একে অপরকে ভালোবাসে না, খুব ভালো বোঝেও। সুখী দম্পতিরা একে অপরের সেরা বন্ধু এবং তারা তাদের সঙ্গকে সত্যিকারের ভালোবাসে। কাজ করা থেকে শুরু করে একসঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটানো পর্যন্ত- তাদের জীবনের লক্ষ্য এবং মতামত একই রকম। তাদের এই সম্পর্ক বন্ধুত্বের শক্ত ভিত্তির ওপর ভরসা করে টিকে থাকে।
অনেকেই বলে থাকেন যে, কঠিন সময়ে সঙ্গী চেনা যায়। এসময় হয় সম্পর্ক ভেঙে যায়, নয়তো কাছাকাছি নিয়ে আসে। আর তাই, যে দম্পতিরা দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য জীবনে টিকে আছেন, তারা সঙ্গী হিসেবে একসঙ্গে অনেক দুঃখের সময় পাড়ি দিয়ে এসেছে। এই কঠিন সময়গুলোই তাদের একে অপরের কাছাকাছি এনেছে এবং তাদের সংযোগকে আরও গভীর এবং শক্তিশালী করেছে।
আমরা মানুষ এবং আমাদের ভুলত্রুটি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। সুখী দম্পতিরা তাদের সঙ্গীর ছোটখাটো ভুল এবং ত্রুটি এড়িয়ে যায়। এর পরিবর্তে তারা তাদের ছোট-বড় গুণগুলোকে সামনে আনতে পছন্দ করে। সঙ্গীকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করার পরিবর্তে তাদের মতো করে গ্রহণ করে। তারা শুধু ভালোবাসে না, একজন ব্যক্তি হিসেবে সঙ্গীকে সম্মান করে।
যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে মতবিরোধ থাকাটা স্বাভাবিক। যেহেতু তারা দুটো ভিন্ন মানুষ, তাদের মতের অমিল থাকতেই পারে। যাদের দীর্ঘ বৈবাহিক জীবন, তাদের মাঝেও ঝগড়া হয়। তবে তারা ভুলভাল বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে না। তারা একে অন্যকে ভালোবাসে বলেই প্রত্যাশাটাও বেশি থাকে। একসঙ্গে থাকতে চায় বলেই ভুলগুলো শুধরে সামনে এগিয়ে যেতে চায়।
এস