সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রথম শর্ত পারস্পরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস। সঙ্গীকে তার যোগ্য সম্মান প্রদান করা। তার প্রতি আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া। ভালোবাসার প্রতিদানে প্রত্যাশা কম রাখা। ভালোবাসার মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং পছন্দে অনধিকার চর্চা না করা। কিন্তু, ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ না করার মতো উদারতা খুব কম মানুষেরই থাকে। তবে, সম্পর্ক ভালো রাখতে এমন হওয়াই উচিত।
আপনার সম্পর্ক যদি সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হয়, তা আপনাকে শুধু মানসিক শান্তি–ই দেবে না, বরং আপনার জীবনটাও সহজ আর সাবলীল করে তুলবে।
কিন্তু আপনার সম্পর্ক হেলদি তথা স্বাস্থ্যকর কি না, সেটা বোঝার জন্য আজকের এই প্রতিবেদন। নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে মিলিয়ে নিন সেগুলোর সঙ্গে আপনার কতোটা মিল আছে। যদি এর মধ্যে থাকা বেশিরভাগ বৈশিষ্ট্য আপনার সম্পর্কে উপস্থিত থাকে, তবে আপনি বুঝে নেবেন আপনি একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্কে আছেন। তাহলে চলুন সেগুলো কী কী জেনে নেওয়া যাক:
১. স্বাস্থ্যকর সম্পর্কে ভালোবাসাটা শুধু সঙ্গীর ভেতরেই আবদ্ধ থাকে না। বরং আপনি সঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গে তার স্বপ্ন, লক্ষ্যকেও মন থেকে শ্রদ্ধা করতে শুরু করেন। যতটুকু সম্ভব, তার স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেন। কেবল সঙ্গী হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে আপনি তার মেধা, শ্রম, সততা, গুণের কদর করে থাকেন তাহলে আপনি একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্কে আছেন।
২. সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে কিছুটা সময় কাটানো, ঘুরতে যাওয়া, হাঁটতে বের হওয়া, বাজার করা, প্রাকৃতিক পরিবেশে মন খুলে কথা বলা, দিনের সমস্ত ঘটনা, সুখ-–দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য কি আপনার মনটা ব্যাকুল হয়ে থাকে? তাহলে আপনি সত্যিকার অর্থের সঙ্গীর সঙ্গে জীবনটা ভাগাভাগি করছেন।
৩. স্ত্রী বা প্রেমিকা আপনার জন্য কিছু করলে মন থেকে কৃতজ্ঞতাবোধ চলে আসে? ছোট ছোট কাজের জন্য নিয়মিত সঙ্গীকে ধন্যবাদ দেন? বিশেষ মুহূর্তে সঙ্গীকে পাশে পেলে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মানুষ মনে হয়ে থাকে, তাহলে আপনাদের সম্পর্কটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের একটি চমৎকার উদাহরণ।
৪. সঙ্গী যদি একাডেমিক বা পেশাগত জীবনে আপনার চেয়ে ভালো করে, আর তা নিয়ে আপনি গর্বিত হন? এর মানে আপনি একটি সুস্থ সম্পর্কে আছেন।
৫. সঙ্গীর সঙ্গে দ্বিমত হন কিন্তু অসম্মান করেন না। কথা–কাটাকাটি বা ঝগড়ার সময় মাথায় রাখেন এমন কোনো কথা যেন বেফাঁসেও না বলে ফেলেন, যাতে অপরপক্ষ মনে কষ্ট পেতে পারেন।
৬. স্বাস্থ্যকর একটা সম্পর্কে আপনি নিজের সবচেয়ে ‘ভঙ্গুর’ মুহূর্তেও সঙ্গীকে পাশে পেলে নিরাপদ বোধ করবেন। সঙ্গী আপনার কথাকে কীভাবে নেবে, এই আশঙ্কাটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্কে থাকে না।
৭. নিজেদের সম্পর্কের ভুল– বোঝাবুঝি নিয়ে যদি আপনি তৃতীয় কোনো ব্যক্তির কাছে অভিযোগ না করেন, সমাধান প্রত্যাশা না করেন, বরং নিজেদের মতো করেই সবকিছু সমাধান করে নিতে পারেন, তাহলে বুঝবেন আপনাদের সম্পর্কে বোঝাপড়া, আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাটা অনেক বেশি।
৮. সঙ্গী বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিশলে আপনার খারাপ লাগে না, বরং ভালোই লাগে। আপনাদের সম্পর্কে যদি খবরদারি না থেকে স্বাধীনতার চর্চার জায়গাটা বেশি থাকে, তবে আপনাদের সম্পর্ক একটা সুস্থ সম্পর্ক।
৯. সঙ্গী যেমন, তাকে ঠিক তেমন করেই ভালোবাসতে পারেন। এজন্য কোনো কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না। এর অর্থ হলো, আপনি আপনার সঙ্গী আর সম্পর্ক নিয়ে খুশি।
১০. সবচেয়ে বড় কথা হলো, সঙ্গীর সঙ্গে থেকে ক্রমেই যদি আপনার সেরা ‘ভার্সন’টা বের হয়ে আসে, আর খারাপ দিকগুলো ক্রমেই বিলীন হয়ে যায়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনি একটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্কে আছেন।
এস