সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
‘ভালো আছি ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’, এই গানের বোল বাঁধতে গিয়ে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ কি কোনো দিন ভেবেছিলেন যে মানুষ একসময় শুধুই আকাশের ঠিকানায় অর্থাৎ অন্তর্জালে (ই-মেইলে) চিঠি লিখবে!
আজ বিশ্ব চিঠি দিবস। প্রতি বছর ১ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস’ পালিত হয়। এই দিনটি চিঠি লেখার গুরুত্ব এবং সেই ঐতিহ্যবাহী যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উদযাপন করা হয়। বিশ্ব জুড়েই চিঠি একটি আবেগের নাম।
কিন্তু, বর্তমান সময়ে এসএমএস, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ আর ইমেইলের দ্রুততার যুগে কাগজের চিঠি, পথপানে চেয়ে থাকা আর ডাকপিয়নের ঘণ্টাধ্বনি যেন রূপকথার গল্প বলে মনে হয়। তবে দাপ্তরিক কাজে এখনও ব্যবহৃত হয়ে আসছে চিঠি।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে সর্বপ্রথম অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক রিচার্ড সিম্পকিনের হাত ধরেই এই দিবসের প্রচলন শুরু হয়। দেশীয় সংস্কৃতিতে আবহমান কাল থেকেই সংযোগ ও সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে চিঠি বিবেচিত হয়ে আসছে। আগেরদিনে দূরত্বের ব্যবধান ঘোচানোর জন্য এই চিঠিই ছিল প্রধান মাধ্যম। বিদেশে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য চিঠি ছিল একমাত্র ভরসা। এর মাধ্যমে দূরত্বের মধ্যেও সম্পর্কগুলো টিকে থাকত এবং গভীরতা হতো। আবার চিঠির উত্তর পাওয়ার জন্য যে অপেক্ষার প্রহর গোনা হতো, তা ছিল একটি আলাদা অভিজ্ঞতা। আগের দিন যারা চিঠি পাঠিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করতেন তারা বলছেন, আজকের দ্রুত যোগাযোগের যুগে সেই অপেক্ষার মাধুর্য এবং উত্তেজনা আর অনুভূত হয় না।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইমেইল, মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে চিঠি লেখার চর্চা অনেকটা হারিয়ে গেছে। মানুষ এখন সহজ এবং ত্বরিত মাধ্যমের দিকে ঝুঁকে পড়েছে, যার ফলে চিঠির সেই ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে।
তবে আজকের এই বিশেষ দিনে চাইলে আপনি চিঠি লিখতে পারেন প্রিয়জন বা যে কাউকে। লাল নীল পাতায় বাহারি রঙে মনের না বলা সব কথা জানিয়ে রঙিন খামে চিঠি লিখে পাঠাতে পারেন। যার শুরুতে স্নেহময় আর শেষে থাকবে ইতি তোমারই। শুধু প্রেয়সী বা প্রিয়তম, একে অপরকে নয়, বরং বাবা-মা অথবা ভাই-বোনকে আপনি যে ভালোবাসেন, সে কথা হয়তো আপনি মুখে কখনো বলতে পারেননি। তাই নিজের না বলা কথা আজ তাদের চিঠি লিখে জানিয়ে দিতে পারেন। আবার আপনার পুরনো কোনো বন্ধু, যার সঙ্গে আপনার ছোটবেলা কেটেছে, কিন্তু এখন সেভাবে যোগাযোগ নেই আজকের দিনে তাকেও চিঠি লিখতে পারেন। এছাড়া সংসার জীবনে অনেক বছর পার করার পর যাদের মধ্যে রোমান্টিকতা আগের মতো আর নেই, তারাও আজকের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রিয়জনকে চিঠির মাধ্যমে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করতে পারেন.
এস