সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পাকিস্তানের করাচিতে আত্মঘাতী হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন পাঁচ জাপানি নাগরিক। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে লান্ডির মানসেহরা কলোনিতে ওই পাঁচ জাপানি নাগরিকদের বহনকারী গাড়িকে টার্গেট করা হয়েছিল।
তবে, তাদেরকে গোপন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও জানিয়েছে যে বিদেশি নাগরিকরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে কাজ করছিলেন।
পূর্ব করাচির ডিআইজি আজফার মহেসার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে যে, হামলাকারীরা পায়ে হেঁটে এসেছিল। তিনি আরো জানান, পুলিশ সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ছয়টি হাতবোমা, একটি এসএমজি এবং তিনটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে।
“হামলাকারীদের কাছে দুটি পেট্রোলের বোতলও ছিল। সমস্ত আইটেম আক্রমণকারীদের সাথে একটি ব্যাগে ছিল,” বলেন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন।
ডিআইজি বলেন, একজন সন্ত্রাসী আত্মঘাতী হামলা চালালে বিস্ফোরণে কাছাকাছি থাকা একটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিস্ফোরণের শব্দ শুনে নিকটবর্তী একটি পেট্রোল পাম্পে অবস্থান করা ভ্রাম্যমান পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, শরাফি গোথ থানার কর্মীরাও সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি হয়েছিল। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে এ হামলা চালানো হয় বলে জানান ডিআইজি ইস্ট।
তিনি আরো বলেন, শহরে বিদেশিদের নিরাপত্তা হুমকির খবর পাওয়ার পরে পুলিশ ইতোমধ্যেই সতর্ক ছিল। চীন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) এবং নন-সিপিইসি প্রকল্পগুলোর জন্য একটি সুরক্ষা পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল, তিনি যোগ করেন।
পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে, এনকাউন্টারে নিহত দ্বিতীয় সন্ত্রাসীও একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী। তার শরীরে একটি আত্মঘাতী জ্যাকেট এবং একটি গ্রেনেড বাঁধা ছিল। এ ঘটনার পর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল হামলার স্থানে গিয়ে বোমা নিষ্ক্রিয় করে।
এসএসপি মালির তারিক মাসতোই বলেন, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা। বিস্ফোরণে একটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গুলির শব্দও শোনা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন নিরাপত্তারক্ষী জিও নিউজকে বলেছেন যে তারা দুটি গাড়িতে করে জমজামা ছাড়ছিলেন। তখন মানসেহরা কলোনির কাছে একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। বিস্ফোরণের পরে, একজন সন্ত্রাসী তাদের গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছিল।
পাকিস্তান কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের ইনচার্জ রাজা উমর খাত্তাব সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশিরা তিনটি গাড়িতে যাতায়াত করছিলেন। আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা কাছাকাছি অপেক্ষা করছিল এবং স্পিড ব্রেকারের কারণে গাড়িটির গতি কমে গেলে হামলা চালায়। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে হামলা ব্যর্থ করে দেয়।
এম