দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৭ জন। রোববার (২০ আগস্ট) উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় গুজরাট থেকে তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস খাদে পড়ে গেলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি বাস গঙ্গোত্রী থেকে ফেরার সময় উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার গাংনানীতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর এই কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দিল্লিতে থাকা মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি দুর্ঘটনার বিষয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন এবং দ্রুত গতিতে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ), ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) এবং মেডিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে সহায়তা দেওয়ার জন্য দেহরাদুনে একটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট মণিকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়ক থেকে প্রায় ৫০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায় তীর্থযাত্রীদের বহনকারী বাসটি। উদ্ধারকারীরা সেই খাদে নেমে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাসটি কেটে হতাহতদের উদ্ধার করেন। আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে শোক প্রকাশ করেছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও। গুজরাটি ভাষায় করা পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘উত্তরাখণ্ডে খাদে বাস পড়ে যাওয়ায় গুজরাটের কয়েকজন তীর্থযাত্রী নিহত হয়েছেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি শোকাহত।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। গুজরাট সরকার এই দুর্ঘটনার বিষয়ে উত্তরাখণ্ড সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্য অবিরাম বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং এর জেরে রাজ্যের অনেক জায়গায় ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্যোগের কারণে রাজ্যটিতে কমপক্ষে ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে বহু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট।
সূত্র: এনডিটিভি