সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও কৃষি অনুষদের অধ্যয়নরত শেখ রোজী জামাল হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন তারা।
এ ঘটনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
বাকৃবির একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আজহারুল ইসলামকে জানায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর। এ সময় সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশার বিষয়টি স্বীকার করেন ওই ছাত্রী। পরে রোজী জামাল হলে প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারির উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ছাত্রী।
স্বীকারোক্তিতে ওই শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। ভর্তির পরে ক্লাস শুরু হলে জানতে পারেন ওই শিক্ষক তাদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের শিক্ষক। মেসেঞ্জারে আলাপের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই শিক্ষক বিবাহিত, এই বিষয়টিও জানতেন ওই শিক্ষার্থী।
ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের মোবাইল একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রুখসানা আমিন রুনা বলেন, ওই শিক্ষার্থী শেখ রোজী জামাল হলে থেকে পড়াশোনা করে। দুদিন আগে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় প্রায় ১০টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলে সে। এমন অবস্থায় তাকে হলে রাখা বিপজ্জনক মনে করে তার স্থানীয় অভিভাবকদের ডেকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরএ