সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রাঙামাটির লংগদুতে দুই কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে আগামী সোমবার (২০ মে) অর্ধদিবস (ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা) জেলার নৌপথ ও সড়কপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ)।
শনিবার (১৮ মে) বিকেলে রাঙামাটি সদরের কুতুকছড়িতে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে পাহাড়ি এই সংগঠনটি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপিডিএফ সংগঠক বাবলু চাকমা। এ সময় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নিশি চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ধর্মশিং চাকমা।
ইউপিডিএফের ২ কর্মীকে হত্যার ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসন বিধি (১৯০০ সালের রেগুলেশন) বাতিল করার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ যখন আন্দোলন গড়ে তুলছে, ঠিক সে সময় সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও আন্দোলন বানচাল করে দেওয়ার জন্য সন্তু লারমা তার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন চাকমা ও সমর্থক ধন্যমনি চাকমাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে।
সন্তু লারমা জুম্মো জনগণের স্বার্থের বিপরীতে গিয়ে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, ৯৭ সালে চুক্তির নামে সন্তু লারমা জনগণের সঙ্গে বেইমানি করেছেন, এখন জনগণের পক্ষে যারা আন্দোলন করছেন তাদেরকে হত্যা করে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।
তারা সন্তু লারমাকে খুনি-সন্ত্রাসীদের গডফাদার আখ্যায়িত করে তাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণের দাবি জানান এবং তার খুনের রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশ থেকে ইউপিডিএফ সংগঠক বাবলু চাকমা লংগদুর বড় হাড়িকাবায় ইউপিডিএফের কর্মী ও সমর্থক হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামী সোমবার (২০ মে) রাঙামাটি জেলায় ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ঘোষণা করেন এবং এই কর্মসূচি সফল করতে জেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে, শনিবার (৮ মে) সকালে লংগদুর বড়হাড়িকাবার ভালেদি ঘাটের পার্শ্ববর্তী স্থানে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্যমনি চাকমা (৩৫) নিহত হন।
এই ঘটনায় ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে।
তবে জনসংহতি সমিতির লংগদু উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করে এ হত্যাকাণ্ডকে ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
ডিপি/