সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
দাগি আসামি, যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে একাধিক, তাদের বেছে নেন সহকর্মী হিসেবে। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় তার অভিজ্ঞতা ডাকাতিতে। আবার যেখানে সেখানে তিনি ডাকাতি করেন না। সবাইকে নেন না তার টিমে।
সদস্য বাছাই করারও রয়েছে তার আলাদা তরিকা। বলছি মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেলের কথা। পুলিশ পরিচয়ে দেশে যত ডাকাতি হয় তার সেকেন্ড ইন কমান্ড তিনি।
ঢাকার নবাবগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর ২৫০ ভরি স্বর্ণ লুটের মামলার ঘটনায় এক বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত বছরের ৩০ এপ্রিল সকালে নবাবগঞ্জের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী ২৫০ ভরি স্বর্ণ এবং প্রায় ৫০০ ভরি রূপা নিয়ে তার জুয়েলারির দোকানে যাওয়ার পথে একটি মাইক্রোবাস গতি রোধ করে। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে অপহরণ করে তাকে। এরপর সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মানিকগঞ্জের একটি এলাকায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। সেই ঘটনায় হওয়া মামলায় ঢাকা জেলার পুলিশ কয়েকটি জেলায় অভিযান চালিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার এবং ১৭৭ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে। তবে মূলহোতা ছিল অধরা।
ঘটনার প্রায় এক বছর পর সম্প্রতি মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ। হাজী আপেলই হচ্ছে সেই ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড (পুলিশের দাবি)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করা যায় এই ধারণা যাদের মাথা থেকে প্রথমে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম হাজী আপেল।
কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে বসে ১২ বছর আগে দুর্ধর্ষ একটি টিম গঠন করেন আপেল। সেই টিমে রাখা হয় সব দাগি আসামিদের। উদ্দেশ্য ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি করা। সফলতা পায় আপেলের দল। ডাকাতি করতে থাকে একের পর এক। সবশেষ আড়াই বছর আগে একবার গোয়েন্দা পুলিশের হাতেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আপেল। তার নামে মামলা আছে ১৯টি।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ বলেন, তদন্তকালে দেখা যায়, এ মামলার মাস্টারমাইন্ড দুর্ধর্ষ ডাকাত মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেল। তিনি পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করতেন।
ডাকাতির টাকায় হাজী আপেল বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আপেলের ডুপ্লেক্স বাড়িসহ অনেক সম্পত্তি রয়েছে। তার দুই স্ত্রী। আপেলের বাড়িসহ সব জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। এখন তার সম্পত্তির বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।
জেডএ