সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রাজশাহীতে র্যাব পরিচয়ে তল্লাশির নামে ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের হাতে এক সহযোগীসহ মোস্তফা কামাল (৩১) নামের এক পুলিশ সদস্য আটক হয়েছেন। পরে তাদের পুলিশের কাছেই হস্তান্তর করা হয়। গতকাল শনিবার রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।
আবু হেনা মোস্তফা কামাল (৩১) রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) দামকুড়া থানায় কনস্টেবলের পদে কর্মরত। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আলীনগর গ্রামে। তার সহযোগীর নাম মো. রাব্বী (২৭)। তিনি রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভাটাপাড়া আপেল ডেকোরেটর মোড় এলাকার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোদাগাড়ীর চাপাল এলাকায় বুলবুল আহম্মেদ (২৪) নামের এক যুবককে তল্লাশি করছিলেন আবু হেনা ও রাব্বী। তল্লাশির নামে তারা বুলবুলের মোবাইল ফোন কেড়ে নিচ্ছিলেন। বুলবুল পরিচয় জানতে চাইলে আবু হেনা জানান, তিনি র্যাবের লোক। এ সময় বুলবুল পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে আবু হেনা ও রাব্বী মারধর শুরু করেন। এ সময় বুলবুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দুজনকে আটক করেন। এরপর র্যাব-৫ এবং গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা সেখানে গেলে আবু হেনা মোস্তফা কামাল নিজেকে পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে পরিচয় দেন। পরে দুজনকে আটক করে র্যাব-৫-এর সদর দপ্তরে নেওয়া হয়।
ওসি কামরুল ইসলাম আরও জানান, পরে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আটক দুজনকে গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়। আজ সকালে র্যাবের পক্ষ থেকে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও হয়েছে। দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
র্যাব-৫-এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন স্বীকার করেছেন যে, তারা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই চাপালে গিয়েছিলেন। র্যাবের মিথ্যা পরিচয় দেওয়া এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ছিনতাইয়ের সময় পুলিশ কনস্টেবল আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘আমি পরীক্ষার ডিউটিতে আছি। বিষয়টি জানি না। পরে খোঁজখবর নিয়ে দেখব। ঘটনা সত্য হলে কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’