সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নরসিংদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানা অনিয়মের প্রতিবাদে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৮টা পযর্ন্ত নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল প্রাঙ্গণে ও স্কুলের প্রধান ফটকে এই আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ স্কুলের নানা অনিয়মের বিষয় উপস্থাপন করেন।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা স্কুলে ছুটে আসেন। রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার বিভিন্ন সময় স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বৃহস্পতিবার স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পূর্ব নির্ধারিত বিদায় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগত শিক্ষার্থীদের স্কুলে বা অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। পরে প্রতিবাদের মুখে শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে দিলেও পাঁচ মিনিটের আলোচনার পর বিদায় অনুষ্ঠান শেষ করে দেয়।
এতে ফুঁসে উঠে শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হন প্রধান শিক্ষক। এ ছাড়া বিদায় অনুষ্ঠান বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হলেও নিম্ন মানের খাবার বিতরণ করা হয়। টিফিনেও নিম্নমানের খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ করলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের (দশম শ্রেণির) শেষ ক্লাসের দিনে র্যাক ডে’র আয়োজন করা হয়। ওই সময় ৩৫০ জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হলেও অনুষ্ঠান করেনি প্রধান শিক্ষক। অনুষ্ঠান করতে না দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে তালা মেরে রেখে দেওয়ার অভিযোগ করেন তারা। শুধু তাই নয়, স্কুলের ৪৬ জন শিক্ষক থাকলেও বিদায় অনুষ্ঠানে তিনজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এ ধারাবাহিকতায় স্কুলের বিদায়ী শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামে।
তবে এসব অনিয়মের কথা অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার। তিনি বলেন, স্কুলে কোনো রকম অনিয়ম হয়নি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। একই সাথে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
আরএ