সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে অটোরিকশা চালক জিহাদ বাবুকে ছুরিকাঘাতে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
এদের মধ্যে মো. রনি (২২) নামে এক যুবককে গতকাল শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে শেরপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। আর বাকি তিনজনকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বগুড়ার সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান। এদিন সন্ধ্যার দিকে সারিয়াকান্দি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বাকি তিনজনের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার মো. রনি শাজাহানপুরের নন্দগ্রামের বাসিন্দা। বাকি তিনজন হলেন, রনির স্ত্রী বিথী, ভাই দুলাল ও বন্ধু হাসান। তারা একই এলাকার বাসিন্দা।
ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়া জিহাদ বাবু (১৭) বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি বগুড়া শহরের মালগ্রাম এলাকার আতাউর প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিখোঁজের ঘটনায় বৃহস্পতিবার জিহাদ বাবুর বাবা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে সেদিন বিকেলেই সারিয়াকান্দির যমুনা নদীর গজারিয়া চর থেকে জিহাদ বাবুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরে নয়টি স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরে এ ঘটনায় সারিয়াকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই ঘটনাটি নিয়ে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, জিহাদ বাবুর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়। বুধবার দুপুরে রনির পরিচিত দুজন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ থেকে জিহাদের অটোরিকশা ভাড়া নেয়। ওই দুজন সারিয়াকান্দির কালিতলা এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার কথা জানায় জিহাদকে। পথে রনি তার স্ত্রী ও আরও একজন অটোরিকশায় চড়ে।
এরপর জিহাদ তাদের সারিয়াকান্দিতে নিয়ে আসলে রনি ও অন্যরা কিছুক্ষণ সেখানে ঘুরে বেড়ায়। পরে কৌশলে জিহাদকে নিয়ে নৌকায় চড়ে নদীর ওপারে চরে যায়। সেখানে জিহাদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এরপর অটোরিকশাটি নিয়ে তারা বগুড়া ফিরে আসে।
ওই অটোরিকশা রনির হেফাজতে ছিল বলে উল্লেখ করেন র্যাব কমান্ডার। তিনি জানান, পরবর্তীতে ওই অটোরিকশাটি শহরের চেলোপাড়া এলাকায় ফেলে রেখে রনি ঢাকায় পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগেই র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
র্যাব কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পূর্বপরিকল্পনা থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। রনি ও উদ্ধার হওয়া অটোরিকশাটি সারিয়াকান্দি থানায় পাঠানো হয়েছে।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, নিহতের বাবা আতাউর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলা করেন। মামলার পরপর সদরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর র্যাব একজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।
জেবি