সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা সফররত ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের প্রতিনিধিদল।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সংসদ সদস্য ভবন কমপ্লেক্সে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ফ্ল্যাটে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন।
সভায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার ও কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।
ইইউ এক্সপার্ট কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তাদের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আলেক্সান্ডার ম্যাটুস ও লিগ্যাল-হিউম্যান রাইটস বিশেষজ্ঞ রেবেকা কক্স।
জাসদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইইউ প্রতিনিধিদল সংবিধান, নির্বাচনি আইন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি, জাসদের দলীয় ইতিহাস, অবস্থান ও ভূমিকা, ১৪ দলীয় নির্বাচন জোট ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চান।
তাদের প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশের কোনো ব্যক্তিই সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে নন। দেশের বিচার বিভাগ অত্যন্ত শক্তিশালী ও স্বাধীন।
তিনি বলেন, সরকার বা নির্বাহী বিভাগ দ্বারা কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রতিকার পাওয়ার জন্য আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার সুসংরক্ষিত। আদালত নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেলে নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে থাকেন।
বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মীরা সর্বজনীন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, চর্চা, অনুশীলন, সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতায় যুক্ত হয়েছিলেন জানিয়ে ইনু বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দণ্ডাদেশ প্রদান করেছে। তারপরও তাদের নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার অধিকার সুসংরক্ষিত আছে।
জাসদ সভাপতি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে জামায়াত স্বস্বীকৃত এবং উচ্চ আদালতে প্রমাণিত যুদ্ধাপরাধী দল। দেশের সংবিধান, আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের দলের রাজনীতি ও দল করার অধিকার নাই।
সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানিয়ে ইনু প্রতিনিধিদলকে বলেন, নির্বাচন কমিশন দেশের সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা ও এখতিয়ারের ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার ও নির্বাহী বিভাগ সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার সন্ত্রাসবাদী রাজনীতির পথ পরিহার করে ভোটে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।
ডিপি/