সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ‘প্রমাণ’ পেয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পুলিশ হেফাজতে দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদ তার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে কিছু অডিও, ভিডিও ক্লিপ পাওয়া গেছে। সেগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হবে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। আসামি এসব অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষক মুরাদ কী জানিয়েছে, জানতে চাইলে খ মহিদ উদ্দিন বলেন, বাদীর মেয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় মুরাদের কোচিংয়ে পড়ত। প্রায় সময় মুরাদ তার মেয়েসহ তার সহপাঠীদের কুরুচিপূর্ণ কৌতুক শোনাত।
তিনি বলেন, বাদীর মেয়ে স্কুলে নাচ করত। ওই নাচের ভিডিও মুরাদ ঘুমানোর আগে দেখত বলে ওই শিক্ষার্থীকে প্রায়ই বলত।
অভিযোগ এক বছর আগের, এখন সেটা কীভাবে প্রমাণ করা সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত এই কমিশনার বলেন, ফৌজদারি অপরাধ কখনো তামাদি হয় না, ৫০ বছর হলেও তার বিচার হতে পারে। আর এই ঘটনা প্রমাণে মেডিকেল পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও আরো কিছু বিষয় তদন্ত করে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রমাণ বের করতে হয়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন এক অভিভাবক।
এ বিষয়টি নিয়ে একটি সংবাদপত্র অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করলে শোরগোল পড়ে যায়। এরপর মুরাদ হোসেন সরকারকে আজিমপুরের ক্যাম্পাসের দিবা শাখা থেকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। কলেজের পক্ষ থেকে গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
কিন্তু এতে সন্তুষ্ট না হয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে ভিকারুননিসার ছাত্রীরা। অভিভাবকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানান।
পরে গত সোমবার রাতে কলেজের পরিচালনা কমিটির সভায় মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় এক শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা করেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলাবাগানের বাসা থেকে মুরাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ডিপি/