সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কে-পপ ব্যান্ডের গান শোনা এবং চলচ্চিত্র দেখা ও অন্যদেরকে এই ব্যান্ডের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করার অপরাধে উত্তর কোরিয়া বাইশ বছর বয়সী একজন নাগরিককে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রণালয় উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার সংক্রান্ত ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে মামলার বিশদ প্রকাশ করেছে। এতে ৬৪৯ জন উত্তর কোরিয়ার দলত্যাগকারীদের সাক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।
একটি অজ্ঞাত সূত্রের সাক্ষ্য অনুসারে, দক্ষিণ হোয়াংহাই প্রদেশের ওই যুবককে ৭০টি দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনা, তিনটি চলচ্চিত্র দেখার এবং অন্যদের কাছে বিতরণ করার জন্য ২০২২ সালে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
উত্তর কোরিয়ার তরুণদের উপরে পশ্চিমা সংস্কৃতির "মন্দ প্রভাব" থেকে রক্ষা করার জন্য ২০২০ সালে নতুন আইন প্রনয়ণ করা হয়েছিল। এই আইনের অধীনে কে-পপের উপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হয়েছিল। এই আইনের উদ্দ্যেশ্য ছিল "প্রতিক্রিয়াশীল মতাদর্শ এবং সংস্কৃতি" নিষিদ্ধ করা।
তবে, উত্তর সরকার মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের এই সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা এটিকে উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের অংশ বলে অভিহিত করেছে।
ওই প্রতিবেদনে যুবকদের উপর একটি নির্দিষ্ট ফোকাস রেখে বাইরের তথ্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের ব্যাপক প্রচেষ্টারও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত রেডিও ফ্রি এশিয়ার মতে, পশ্চিমা ফ্যাশন এবং চুলের স্টাইলের পাশাপাশি বিদেশী শব্দযুক্ত স্কিন-টাইট জিন্স, টি-শার্টের পাশাপাশি রঙ্গিন বা লম্বা চুলের উপরে নিষেধাজ্ঞা এবং কঠোরতা আরোপ করা হয়।
এর আওয়ায় নববধূরা সাদা পোশাক পরা, বর কনেকে বহন করে, সানগ্লাস পরা, বা ওয়াইন গ্লাসে মদ পান করার মত কাজগুলোকে দক্ষিণ কোরিয়ার রীতিনীতি হিসাবে বিবেচনা করে। এই ধরণের রীতিনীতির শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, জনগণের মোবাইল ফোনগুলিকে প্রায়শই খুটিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয় এতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রভাবিত কোন কিছু আছে কিনা।
সূত্র: এনওয়াইপোস্ট।
এমএ