সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় বহুল আলোচিত একরামুল হক (৪০) হত্যা মামলায় নুর হাই, শামীম হোসেন ও কবির হোসেন নামে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আদিব আলী এ রায় দেন। এ সময় মামলার অন্য ৬ আসামিকে খালাস প্রদান করেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শামীম হোসেন হাতিবান্ধা উপজেলার রমনীগঞ্জ এলাকার মৃত তফসির উদ্দিনের ছেলে, মো. নুর হাই একই এলাকার মো. আব্দুস সোবহানের ছেলে এবং কবির হোসেন একই এলাকার মৃত নজির হোসেনের ছেলে।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৮ জুলাই লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার নুর হাইয়ের সঙ্গে মাদক বিক্রির টাকার হিসাব ঠিকমতো দিতে না পারায় এবং তার সঙ্গে মাদক ব্যবসা না করার ক্ষোভে একরামুলকে কৌশলে মাদক সেবন করার কথা বলে সানিয়াজান নদীর তীরে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করা নুর হাইয়ের অপর দুই সহযোগী শামীম হোসেন ও কবির হোসেনসহ মাদক সেবন করেন। এ সময় তারা একরামুলকে অতিরিক্ত মাদক সেবন করানোর পর অচেতন করে তিনজন মিলে হত্যা করেন। পরে নদীর বালুর নিচে লাশ গুম করে রাখেন তারা।
দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর একরামুলের স্ত্রী মনিরা ইয়াছমিন বাদী হয়ে নুর হাইকে প্রধান করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে হাতিবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ নুর হাইকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একরামুলকে হত্যার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সময় তাকে কবির হোসেন ও শামীম হোসেন সহযোগিতা করেন বলেও স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন।
একরামুল হক হত্যা মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একরামুল হত্যা মামলার রায়ে আদালত নুর হাই, কবির হোসেন ও শামীম হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আদেশ এবং বাকি ৬ আসামিদের খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নুর হাই ও শামীম হোসেন উপস্থিত থাকলেও অপর আসামি কবির হোসেন পলাতক ছিলেন বলে জানান তিনি।
অ