সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হলে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করবে অ্যাপটির মালিক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের কর্তৃপক্ষ। ব্লুমবার্গ সোমবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ শনিবার (২০ এপ্রিল) এই মর্মে একটি বিল পাস করেছে।
বাইটড্যান্স কোম্পানির মার্কিন শাখার কর্মকর্তা এবং টিকটকের পাবলিক পলিসি বিভাগের প্রধান মাইকেল বেকারম্যান সোমবার রুশ সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডের (আরটি) কাছে এ ইস্যুতে কোম্পানির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা আমাদের জন্য খুবই অনাকাঙিক্ষত যে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের রিপাবলিকানপন্থি স্পিকার এবং জো বাইডেন, যিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা— উভয়েই টিকটক নিষিদ্ধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
‘যাই হোক, তাদের কাজ তারা করবেন। তবে সত্যিই যদি যুক্তরাষ্ট্র এই আইন চালু করে, তাহলে প্রেসিডেন্ট যেদিন (আইনটিতে) স্বাক্ষর করবেন, সেদিনই আমরা আদালতে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কার্যক্রম শুরু করব।’
বেকারম্যান বলেন, যদি আইনটি পাস হয়, তার ফলাফল হবে ভয়াবহ। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে যে ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন, তাদের অনেকের আয়ের উৎস এই অ্যাপটি। অন্তত ৭০ লাখ ব্যবহারকারী রয়েছেন, যারা ক্ষুদ্র ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং এই অ্যাপটির মাধ্যমে তারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালান। তাই (আইনটি কার্যকর হলে) আদালতে আমাদের লড়াই করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স ২০১৬ সালে প্রথম কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক'কে সবার ব্যবহারের জন্য উন্মোচন করেন। ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে টিকটক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ৭৫ কোটি ছাড়িয়ে যায়। এই ব্যবহারকারীদের মধ্যে মার্কিনীদের সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি, যার অধিকাংশই অল্পবয়সী তরুণ-তরুণী।
২০২১ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। ঐ বছরই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। পরের বছর ২০২২ সালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও একই আদেশ দেওয়া হয়।
এবার সাধারণ পর্যায়ে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধের পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে টিকটক নিষিদ্ধের প্রস্তাবে ভোট হয়েছিল। তাতে এই অ্যাপটি নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৬০ জন প্রতিনিধি, বিপক্ষে দিয়েছেন ৫০ জন।
আইনটির অনুলিপিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষর করলে তা পুরো যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর হবে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, নাগরিকদের কাছে টিকটকের অতিমাত্রায় জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা মার্কিন রাজনীতিবিদ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। সেই দুশ্চিন্তারই ফসল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাস হওয়া বিলটি।
এম