সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ব্যাপক জনপ্রিয় ভিডিও তৈরি এবং শেয়ারিং অ্যাপ টিকটককে চীনের মূল সংস্থা বাইটড্যান্স থেকে আলাদা না করা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ শনিবার (২০ এপ্রিল) এই মর্মে একটি বিল পাস করেছে।
বার্তা সংস্থা ডয়েচভেলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, এই বিলটি আগামী সপ্তাহে ভোটের জন্য সিনেটে যাওয়ার কথা রয়েছে। বিলটির পক্ষে ৩৬০টি ভোট পড়েছে এবং এর বিপক্ষে মাত্র ৫৮টি ভোট পড়েছে।
ইউক্রেন, ইসরায়েল এবং তাইওয়ানকে সহায়তা প্রদানকারী একটি বৃহত্তর বিলের একাংশে টিকটক নিষিদ্ধের প্রস্তাবনাটি রয়েছে।
টিকটিক সতর্ক করেছে যে, যদি বিলটি পাশ হয়, তাহলে আইনটি "১৭ কোটি আমেরিকানদের বাকস্বাধীনতার অধিকারকে চূর্ণ করবে, ৭০ লক্ষ ব্যবসা ধ্বংস করবে এবং একটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেবে যা মার্কিন অর্থনীতিতে বার্ষিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের যোগান দেয়।"
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই আইন তার কাছে এলে তিনি তা অনুমোদন করবেন।
এই বিলে অ্যাপটি বিক্রি করার জন্য চীনা মালিক বাইটড্যান্সকে নয় মাস সময় দেয়। যদি এই সময়ের মধ্যে বিক্রি সম্পন্ন না হয়, তবে বিক্রয সম্পন্নের জন্য সম্ভাব্য বাড়তি তিন মাস সময় পাবে। এ ছাড়াও মূল সংস্থাটিকে টিকটকের অ্যালগরিদম নিয়ন্ত্রণ করতেও বাধা দেওয়া হবে। এই অ্যালগরিমের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনের ভিত্তিতে ভিডিওগুলির ফিড দেখানোর ব্যবস্থা করে।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করা স্টিভেন মুচিন বলেছেন যে, তিনি অ্যাপটি অধিগ্রহনে আগ্রহী এবং বিনিয়োগকারীদের একটি গ্রুপকে একত্র করেছেন।
সর্বশেষ বিলটি মার্চ মাসে হাউস দ্বারা পাস করা আগের বিলের একটি সংশোধনী, যার জন্য বাইটড্যান্সকে ছয় মাসের মধ্যে টিকটক বিক্রি করতে হবে। তবে, কিছু সিনেটর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে, ছয় মাসের সময়সীমা খুব কম হবে।
তরুণদের মধ্যে টিকটক অ্যাপটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা অ্যাপটির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দাবি করেছেন যে, এটি বেইজিংকে দেশের প্রায় ১৭ কোটি ব্যবহারকারীদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করার ব্যবস্থা করে দিতে পারে।
অনেক চীনা জাতীয় নিরাপত্তা আইন সংস্থাগুলিকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করতে বাধ্য করে। আইনপ্রণেতা এবং কর্মকর্তারাও সতর্ক আছেন যে, বেইজিং তার স্বার্থের ভিত্তিতে টিকটক বিষয়বস্তুকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে।
তবে, টিকটক অস্বীকার করেছে যে, এটি চীনা সরকারের জন্য একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে বা এটি কখনও চীনা কর্তৃপক্ষের সাথে মার্কিন ব্যবহারকারীর ডেটা ভাগ করেছে, এবং জিজ্ঞাসা করা হলেও তা না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিলের বিরোধীরা যুক্তি দেন যে, বেইজিং ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি বা বাণিজ্যিক ডেটা ব্রোকার নিয়োগসহ অন্যান্য উপায়ে আমেরিকান নাগরিকদের তথ্য সহজেই পেতে পারে।
বিলের বিরোধীদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে টুইটার) এর মালিক বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্কও রয়েছেন।
মাস্ক বলেছেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করা উচিত নয়, যদিও এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা এক্স প্ল্যাটফর্মের উপকার করতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞা বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী হবে।"
এম