সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুতদের নিরাপত্তার কথা মাথায় না রেখে ইসরায়েলের এই হামলা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব নেতারা। এবার সেই আহ্বানে যোগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে জর্ডানের রাজা আব্দুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন। বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুতদের নিরাপত্তার কথা মাথায় না রেখে রাফাহতে সামরিক অভিযান উচিত নয়। বর্তমানে শহরটিতে থাকারা কয়েকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উত্তরাঞ্চল থেকে তারা পালিয়ে এখানে এসেছে। তাদের রক্ষা করা দরকার।’
বাইডেন বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় একটি বৃহত্তর যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং টেকসই শান্তি আনবে। যুদ্ধবিরতিতে পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়টিও থাকবে।’
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য বৈঠকে বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানান জর্ডানের রাজা। তিনি বলেন, ‘এমনটা চলতে থাকবে, আর আমরা বসে থাকব, এমনটা হতে পারে না। আমাদের এখন একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন। এই যুদ্ধের অবসান হওয়া উচিত।’
এদিকে, বাইডেনের আহ্বানের আগে রাফাহতে কাজ করা সৈন্যদের ধন্যবাদ জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই অভিযানকে নিখুঁত বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর আকাশ ও সমুদ্র পথে চালানো হামলায় শহরটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭ ফিলিস্তিনি। অভিযানের সময় দুজন পণবন্দিকে উদ্ধারের কথা জানায় ইসরায়েল। তবে, বোমা হামলায় ওই দুই পণবন্দি নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে হামাস।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, ‘নেতানিয়াহু কারও কথা শুনছে না।’ রাফাহতে সামরিক অভিযান চালানো হবে এবং সবাইকে সে অঞ্চল ছাড়তে হবে, নেতানিয়াহুর এমন আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় জোসেপ বোরেল বলেন, ‘বাস্তুচ্যুত এসব লোকেরা কোথায় যাবে। চাঁদে যাবে কি?’
ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধানের মতো আবেগ দিয়ে কথা বলেননি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন। কূটনৈতিক ভাষায় কড়া জবাব দিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাস্তচ্যুত লোকদের মধ্যে আপনি কীভাবে যুদ্ধ করবেন তা আমাদের দেখার আছে। তাদের যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।’ ক্যামেরুন বলেন, ‘তারা আরও দক্ষিণে গিয়ে মিসরে যেতে পারবে না। তারা উত্তরেও যেতে পারবে না। নিজেদের বাড়িতেও ফিরতে পারবে না কারণ, সেগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা চাই, ইসরায়েল থামুক এবং কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করুক।’
রাফাহর অভিযান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি অং বলেন, ‘সেখানে থাকা বাস্তুচ্যুতদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করা ইসরায়েলের নিজেদের স্বার্থের জন্য গুরুতর ক্ষতির কারণ হবে।’
এম