সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বন্ধ ঘোষণা করা সব পোশাকশিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে শিল্প এলাকাগুলোতে বিদ্যমান অস্থিতিশীল পরিবেশ শান্ত হয়ে আসায় বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকে সব পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি জানান, শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় বন্ধ হওয়া সব পোশাক কারখানা আগামীকাল (বুধবার) থেকে চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা কাজে আসবেন তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে।
এর আগে রোববার (১২ নভেম্বর) পোশাক কারাখানায় কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে ১৩০টি পোশাক কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, মজুরি বাড়ানোর পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। মজুরি ঘোষণার পর থেকে বেশকিছু কারখানায় অজ্ঞাতনামা কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের মারধর করেছে। কারখানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা। তাদের দাবি, ন্যূনতম বেতন বাড়ানোর যে ঘোষণা এসেছে, তাতে তারা সন্তুষ্ট নন। সরকার ৫৬ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও, শ্রমিকদের মধ্যে সামান্য একটি অংশের এই হারে বেতন বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে যারা অভিজ্ঞ শ্রমিক তাদের বেতন বেড়েছে ২০-৩০ শতাংশ।
এও