সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জাল সার্টিফিকেট তৈরি করায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট এটিএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার (১ এপ্রিল) ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া কয়েক হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, শতাধিক ভুয়া সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা, গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয় ।
লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান দেওয়া তথ্যমতে, উদ্ধারকৃত এসব কম্পিউটার, প্রিন্টার, ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরের ৫ হাজারের অধিক অরিজিনাল সার্টিফিকেট মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে হ্যান্ডওভার করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি ওয়েবসাইটে, সরকারি পাসওয়ার্ড, অথরাইজেশন ব্যবহার করে মানুষের কাছে বিক্রয়কৃত সার্টিফিকেটগুলোকে গণ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে সার্স করলে তা সঠিক বলে প্রমাণিত হবে।
মশিউর রহমান বলেন, সিস্টেম অ্যানালিস্ট হওয়ার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবছর কত হাজার পরীক্ষার্থী এসএসসি এইচএসসি পরীক্ষায় জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে কতজন ফর্ম পূরণ করে রোল নাম্বার পেয়েছে, কতজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে নাই কতজন কৃতকার্য হয়েছে, কতজন অকৃতকার্য হয়েছে সব তথ্যই শামসুজ্জামানের কাছে থাকত। এ বিশাল তথ্য ভান্ডার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অথরিটি, সিস্টেম কোড ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগীরা লক্ষ লক্ষ টাকার সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বাণিজ্য করেছে।
২০১৭ সালে ও মার্কশিট সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগে তাকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু হাইকোর্টের মাধ্যমে আবার চাকরিতে পুনর্বাহল হয়ে সে এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে পাঁচ হাজারের অধিক সার্টিফিকেট মার্কশিট বিক্রি করেছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছে। নিয়মিত মামলা রজ্জু হওয়া প্রক্রিয়াধীন বলে জানান মশিউর রহমান।
এফএইচ