সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর গাড়ি থামিয়ে র্যাব পরিচয়ে ৪৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। গত ১০ অক্টোবর বেলা ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, এরা বিভিন্ন সময় কখনও ডিবি, কখনও পুলিশ, কখনও র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি করে আসছিল।
রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সবুজ মিয়া ওরফে শ্যামল (৩৯), মো. সাহারুল ইসলাম ওরফে সাগর (২৩), আবু ইউসুফ (৪১), দিদার ওরফে দিদার মুন্সী (৩৫), মো. ফেরদৌস ওয়াহীদ (৩৫), মো. আলামিন দুয়ারী ওরফে দিপু (৪২) ও মো. দাউদ হোসেন মোল্যা (৩৯)।
হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তারদের নামে ঢাকাসহ আশপাশের ১৩টি জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। প্রত্যেকটি মামলা বা ঘটনায় তারা র্যাব বা পুলিশের পোশাক পরে ডাকাতি করেছে।
তিনি বলেন, ডাকাতি করার পর ৭ জন মুন্সিগঞ্জ-ফেনীসহ ৭ জেলায় চলে যায়। এরপর আমাদের ডিবির ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম অভিযানে নেমে পটুয়াখালী থেকে প্রথমে শ্যামলকে গ্রেপ্তার করে। এরপর পর্যায়ক্রমে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার করার পর এরা কীভাবে ছাড়া পায়, প্রশ্ন করা হলে হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকা শহরে চুরি-ছিনতাই বা ডাকাতির ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ডিবির সদস্যরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আনে। এরপর তাদের আমরা ১৬৪ ধারায় আদালতে পাঠাই। আমরা আমাদের কাজটা করছি। কিন্তু এরপর তারা কীভাবে বেরিয়ে যায় আমরা জানি না।
ঢাকার ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, র্যাবের জ্যাকেট-হ্যান্ডকাপ, ওয়্যারলেস এবং হুবহু অরিজিনালের মতো দেখতে খেলনা পিস্তল, ২৫-২৬টি মোবাইল ফোন, দুই ভরি স্বর্ণ এবং ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ২৬ লাখ টাকা আমরা উদ্ধার করেছি। আশা করি, আরেকজন যাকে ধরেছি, তার কাছ থেকে বাকি টাকা উদ্ধার হবে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, ডাকাতির টাকা দিয়ে তারা উকিলের পেছনে খরচ করেছেন। আবার কেউ জুয়া খেলেছেন, কেউ বাসাভাড়া দিয়েছেন। এভাবে বিভিন্নভাবে তারা খরচ করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, ঢাকার আশপাশের এলাকায় ওয়্যারলেস সেট ও কোমরে পিস্তল নিয়ে তারা প্রায়ই কখনও ডিবি, কখনও পুলিশ আবার কখনও র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি করতো। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নেয়া হবে। এরপর তারা আরও কোথায় কী কী করেছে সেসব বেরিয়ে আসবে।
হারুন অর রশীদ বলেন, ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড শ্যামল ওরফে পলাশ ওরফে সবুজ। সে মূলত ডাকাতির পরিকল্পনা করে। আর সাগর ব্যাংকের ভেতরে থাকে। দুই-তিনদিন যাবত বিভিন্ন ব্যাংকে ঘুরে খেয়াল রাখে, কোন ব্যাংক থেকে বড় একটা অ্যামাউন্ট লেনদেন হয়। এরপর সে শ্যামলকে জানায়। শ্যামল তারপর টার্গেটকে অনুসরণ করে ডাকাতি করে। সাগরকে এর আগেও একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার নামে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৭টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
এর আগে, গত ১০ অক্টোবর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর বেলা ৪টার দিকে গাড়ি থামিয়ে র্যাব পরিচয়ে ৪৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।
এফএইচ