সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সমুদ্রে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ইতোমধ্যেই রেমালের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে বরগুনায়। সকাল থেকেই বরগুনায় গোমট আবহাওয়া বিরাজ করছে। বরগুনার আকাশে কখনো রোদ আবার কখনো কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সতর্ক করতে প্রচারণা শুরু করেছে কোস্টগার্ড।
বরগুনার জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলার জন্য ৪২২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, শিশু খাদ্যের জন্য ১০ লাখ এবং গোখাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও নগদ অর্থ রয়েছে ১৭ লাখ টাকা। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন ৯ হাজার ৬১৫ জন, যারা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন। প্রস্তুত করা হয়েছে ৪৯টি মেডিকেল টিম। খোলা হয়েছে দশটি কন্ট্রোল রুম। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ট্যাবলেট।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব বাঁধ ভেঙ্গে গেলে তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্য ৮ শ' জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রস্তুত করা হয়েছে ৬৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্র। যাতে আশ্রয় নিতে পারবেন প্রায় চার লাখ মানুষ। প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ও সভা সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন জেলেরা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমাল যখন উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঠিক সেই মুহূর্তে সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ চলছে। তাই জেলেরা এ বছর রেমালের হাত থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদে থাকবে। আমরা আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করছি, খুব কম ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে আমরা ঘূর্ণিঝড়ের রেমাল মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।
এম