সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার একটি হাইস্কুলের দুটি অবৈধ নিয়োগ বাতিলের জন্য আদালতে দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাদীকে ছুরিকাঘাত করেছে বিবাদী সাজু মাস্টার।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা জজ আদালতের গেইটের বাইরে এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
আহত বাদী আব্দুর রাজ্জাক বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আহত আব্দুর রাজ্জাক জানায়, গত বছর ঝিনাইগাতি উপজেলার ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সাহাজ উদ্দিন সাজু অবৈধভাবে স্কুলের জন্য মোশারফ হোসেন নামে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে বাবুল মিয়া নাম একজনকে নিয়োগ দেন। ওই নিয়োগের বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা নেন সাবেক ওই প্রধান শিক্ষক।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, হামিদুর রহমান এবং রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে ওই অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে শেরপুরের আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার শুনানি ছিল ২১ সেপ্টেম্বর। তাই বাদীপক্ষ বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষ করে আদালতের মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে ডিসি গেইটের সামনে আসতেই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বিবাদী সাজু মাস্টার একটি দেশীয় ধারালো ডেগার দিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের পেটের ভেতর ডুকিয়ে দেয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অপর বিবাদী বাবুল মিয়াও ছিল বলে জানায় আহত আব্দুর রাজ্জাক। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনরা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক সাহাজ উদ্দিন সাজু জানায়, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। আমি কোনোদিন কলম ছাড়া অন্য কিছু হাতে তুলে নেইনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ইতোপূর্বে আমি বিধি মোতাবেক দুজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিলাম। ওই নিয়োগ বাতিলের জন্য বর্তমান প্রধান শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানায়, ঘটনা শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি