সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ঢাকা টেস্টের পুরোটা সময় ছিল বাংলাদেশের পক্ষে, শুধুমাত্র দিনের শেষ বলটা ছাড়া। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের করা দিনের শেষ ওভারের শেষ বলটা যদি কোনও ভাবে পার করে দিতে পারতেন তবে দারুণ ভাবে শেষ হতো দিনটা।
এর আগে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ওভারেই নাজমুল হোসেন শান্ত সাজঘরে ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। মার্ক অ্যাডেয়ারের বল এজ হয়ে সোজা বোল্ড হন এই টাইগার ওপেনার।
এরপর মুমিনুল হককে নিয়ে ভালোই সামাল দিচ্ছিলেন তামিম। দুজনের জুটিতে রানও আসছিল দ্রুত। কিন্তু দুজনের জুটিটা ভাঙ্গল ৩২ রান।
দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৪ রান। আইরিশদের পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন অ্যাডেয়ার আও ম্যাকব্রিন।
এর আগে সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপে পড়ে আইরিশ ব্যাটাররা। পেস-স্পিনের সমান তাণ্ডবে গতি হারায় আইরিশ ব্যাটিং লাইন-আপ।
শুরুটা হয় ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে মুরে কমিন্ন্সের (৫) বিদায়ে। এরপর এরপর ১০ম ওভারে এবাদত হোসেনের বলে এজ হয়ে সেকেন্ড স্লিপে থাকা শান্তর হাতে ক্যাচ দেন ১৫ রান করা জেমস ম্যাককলাম।
লাঞ্চ বিরতির আগে এন্ড্রু বলবার্নিকে ফিরিয়ে প্রথম শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। এরপর তাইজুলের ঘুর্ণিতে ঘুরল আইরিশ ব্যাটাররা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর হ্যারি ট্র্যাক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পারের ব্যাটে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে সফরকারীরা। তবে দুজনের জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরান মেহেদী মিরাজ।
ট্র্যাক্টরকে (৫০) বিদায় করেন বোল্ড করে। এরপর পিটার মুরকে ১ রানে ফেরান তাইজুল ইসলাম। ৩৪ রানের মাথায় কার্টিস ক্যাম্পারকেও ফিরিয়ে দেন এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে।
দলীয় ১৫৯ রানের মাথায় বলবার্নিকে ফেরান এবাদত। আইরিশদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে লরকান টাকার হাল ধরলেও ৩৭ রান করে শিকার হন তাইজুলের।
মার্ক অ্যাডায়ারকে ৩২ রানে ফিরিয়ে তাইজুল পূর্ণ করেন টেস্টে ১১তম ৫ উইকেট শিকার। শেষ ব্যাটার গ্রাহাম হিউমকে ২ রানে ফিরিয়ে ২১৪ রানে ইনিংস শেষ করেন মেহেদী মিরাজ।
বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুলের ৫ উইকেট ছাড়াও ২টি করে নেন এবাদত ও মিরাজ। ১ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম।