সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেছে শীতের মৌসুম। আর বসন্তের আগমন মানেই শীতবস্ত্রের বিদায় নেওয়ার পালা। শীত মানেই ছিল শরীর ভর্তি মোটা মোটা পোশাক। তবে এখন এসব গরম কাপড়ের প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই বলে অবশ্য একেবারের জন্য বাদ দিয়ে দেবেন তা কিন্তু নয়! আগামী বছর আবারো এর প্রয়োজন পড়বে।
কিন্তু, শীতের পোশাক বা লেপ-কম্বল গুছিয়ে রাখা সহজ নয়। বছরের বেশির ভাগ সময় এগুলো আলমারিতে তোলা থাকে। তাই এর বিশেষ যত্ন না নিলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। এর জন্য এর সঠিক যত্ন নিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে যত্নে রাখবেন আপনার শীতের পোশাক:
১. শীতের পোশাক না ধুয়ে আলমারিতে ঢোকানো যাবে না। এতে লেগে থাকা ময়লা বা শরীর থেকে নির্গত তৈলাক্ত পদার্থ অনেক সময় খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু এগুলো দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে শীতবস্ত্রের ক্ষতি করে। পাশাপাশি এগুলো পোকামাকড় ও ছত্রাক ডেকে আনে। ধুতে না পারলে প্রয়োজনে ড্রাই ওয়াশ করে নিন।
২. গরম জামার সঙ্গে অন্য কোনো পোশাক ধুবেন না। অনেকে একসঙ্গে সব জামাকাপড় ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দেন। এটা না করলেই ভালো। এতে আপনার সময় বাঁচলেও গরম পোশাক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাও শীতের আলাদাভাবে ধুতে দিন।
৩. শীতের পোশাক রোদে দেওয়ার আগে ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। পানিসহ রোদে দিলে তা শুকোতে অনেক সময় লেগে যাবে। তা ছাড়া দীর্ঘসময় রোদে রাখার ফলে পোশাকের রঙ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৪. গরম কাপড় আলমারিতে তোলার সময় কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল দিয়ে দিতে পারেন। এতে পোশাক দূরগন্ধমুক্ত থাকবে। পাশাপাশি আর্দ্র ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় শীতবস্ত্র রাখবেন না। আর্দ্রতাই শীতবস্ত্রের মূল শত্রু। প্রয়োজনে প্রতিটা পোশাকের মাঝে টিস্যু পেপার দিয়ে দিন। এটি অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে নিতে পারে।
৫. শীতের পোশাক ভাঁজ করে রাখা ভালো। কারণ, এগুলো ঝুলিয়ে রাখলে অন্য কাপড়ের সঙ্গে ঘষা লেগে উল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে অনেকগুলো সোয়েটার একসঙ্গে জমা করে রাখবেন না। বরং আলাদা আলাদা এয়ারপ্রুফ ব্যাগে ভরে রাখতে পারলে ভালো হয়। এতে কাপড় ধুলাবালি থেকে বাঁচিয়ে রাখা সহজ। এয়ারপ্রুফ ব্যাগে না থাকলে প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে রাখতে পারেন। তবে যেভাবেই রাখুন না কেন, এগুলো মাঝেমধ্যে বের করে রোদে দিতে হবে।
এস