সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাংলায় ‘ঘৃতকুমারী’ আর ইংরেজিতে অ্যালোভেরা নামে পরিচিত এই উদ্ভিদটি একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছ। যার ব্যবহার বহু যুগ আগে থেকেই। তবে কিছু বছর আগেও এই ভেষজকে নিয়ে তেমন একটা আলোচনা হতো না। এটি অত্যন্ত উপকারি। এতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার দ্বারা জানা যায়, এই উদ্ভিদটিতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব অনেক। এ ছাড়া এতে প্রায় ২০ ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে।
গবেষকদের মতে, শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক সব অ্যামাইনো এসিডসহ প্রায় ১৮ থেকে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ফলিক এসিড, কোলিন, ফ্যাটি এসিড ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। চলুন এবার অ্যালোভেরা আমাদের কী কী উপকার করে জেনে নেওয়া যাক:
অ্যালোভেরায় থাকা ল্যাকটেটিভ উপাদান পেট পরিষ্কার ও হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ক্লান্তি দূর করে দেহকে সতেজ রাখতে এর জুস বেশ উপকারি। অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমিয়ে রক্তে কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সহায়তা করে। এমনকি দেহে ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করলে তা অপসারণ করতেও সাহায্য করে।
সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এটি দেহের টক্সিন উপাদান দূর করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রূপচর্চায় বা ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার জুরি মেলা ভার। এটি বিভিন্ন চর্মরোগ ও ক্ষত সারায়। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমিয়ে দেয়। এছাড়া এটি রোদেপোড়া দাগ, বলিরেখা দূর করা এবং মেকআপ উঠাতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি চুলের শুষ্ক ভাব ও স্কাল্পের চুলকানি কমায়। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া বন্ধ ও খুশকি দূর করে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
তবে অ্যালোভেরার অনেক গুনাগুন থাকলেও এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে, যা অনেকেরই অজানা। চিকিৎসকদের মতে, অ্যালোভেরা জেল তখনই নিরাপদ যখন এটি ওষুধ বা জেল হিসেবে চামড়ায় প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে অ্যালোভেরার যে হলদে রসালো পদার্থ বের করা হয় তার সঙ্গে ‘অ্যালো লেটেক্স’নামের ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটি যদি খাওয়া হয় তবে শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। যেমন, পেট ব্যথা, ত্বকে র্যাশ হওয়া ইত্যাদি।
এছাড়া অ্যালো ল্যাটেক্সের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে ডায়রিয়া, কিডনির সমস্যা, প্রস্রাবে রক্ত, পটাশিয়ামের ঘাটতি, পেশী দুর্বলতা, ওজন হ্রাস এবং হার্ট অ্যাটাকের মত সমস্যা হতে পারে। এমনকি অ্যালো ল্যাটেক্স ব্যবহারের ফলে গর্ভের বাচ্চা নষ্টও হয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে মায়ের বুকের দুধ সন্তানকে খাওয়ার মাধ্যমেও এর ক্ষতিকর প্রভাব মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
এস