সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধের আইন বহাল রেখেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার এ বিষয়ে একটি রায় দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। তবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, টিকটক বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তী প্রসিডেন্ট। এদিকে, টিকটকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত খুব দূর ভবিষ্যতে নয় বলে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিস্তারিত রায়হান কবির শুভ্র’র ডেস্ক রিপোর্টে।
হালের জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। চীনা মালিকানাধীন এই অ্যাপটির বিশ্বব্যাপী রয়েছে কোটি কোটি গ্রাহক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ কোটিরও বেশি টিকটক ব্যবহারকারীকে দুঃসংবাদ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নয় বিচারকের একটি প্যানেল সর্বসম্মতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম বন্ধের রায় দেন। রায়ের পরযবেক্ষণে বলা হয়, ডিজিটাল যুগে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ অ্যাপ কোম্পানিগুলোর সাধারণ চর্চা হলেও টিকটক যে মাত্রায় তথ্য সংগ্রহ করে এবং এটি বিদেশি নিয়ন্ত্রণের ঝুঁকির মুখে, তা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।
এর আগে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে সুগম হবে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পথ।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রটেকটিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেন অ্যাডভারসারি কন্ট্রোলড অ্যাপলিকেশন অ্যাক্ট নামে একটি আইনে সই করেছিলেন। ওই আইনে বলা হয়, চীনা মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স ছয় মাসের মধ্যে টিকটকের শেয়ার কোনো আমেরিকান কোম্পানির কাছে বিক্রি না করলে যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপ নিষিদ্ধ হবে।টিকটক নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বাস্তবে কীভাবে কার্যকর হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অ্যাপটির সংযোগ বন্ধ করতে পারে কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে নতুন ব্যবহারকারীরা টিকটক ডাউনলোড করতে পারবেন না, আর পুরোনো ব্যবহারকারীদের অ্যাপটি কার্যকর থাকবে না।
তবে এ পরিস্থিতি এড়াতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। শেষ মেয়াদে এসে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
অন্যদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, টিকটকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে খুব বেশি বিলম্ব করবেন না তিনি। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় টিকটকের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, টিকটক নিষিদ্ধ হলে এর ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি স্পষ্ট হয়ে উঠবে নতুন প্রশাসনের নীতিগত অবস্থান।
কে