সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কলকাতার বহুল আলোচিত আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় শিয়ালদহ আদালতে ২২০ নম্বর কোর্ট রুমে বিচারক অনির্বাণ দাস রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গণেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ের নিহত চিকিৎসক মৌমিতার বাবা।
দীর্ঘ ১৬২ দিনের অপেক্ষা। বিক্ষোভ, দমনপীড়নের পর অবশেষে কলকাতার বহুল আলোচিত আরজি কর হাসপাতালের ঘোষণা হল আরজি কর মামলার রায়। চিকিৎসক মৌমিতাকে নারকীয় ধর্ষণ ও খুনের মূল এবং একমাত্র অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকেই দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় শিয়ালদহ অতিরিক্ত বিভাগীয় ও দায়রা আদালত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে ১৬০ পাতার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারায় ধর্ষণ, ৬৬ ধারায় ধর্ষণের পর মৃত্যু এবং ১০৩ ১ ধারায় খুনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। রায় শুনে আদালতে চিৎকার করে ওঠেন সঞ্জয়। আদালতেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি।
এ রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গণেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ের নিহত চিকিৎসক মৌমিতার বাবা। এ রায়ের জন্য গোটা ভারতই অধির আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলো। সোমবার সকাল থেকেই শিয়ালদহ আদালতের বাইরেই জড়ো হতে থাকেন উৎসুক জনতা। রায়ের পর স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেন তারা। শিয়ালদহর আশপাশে পুরো এলাকা মুড়ে ফেলা হয় কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে।
তবে, সাজার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো দুদিন। আগামী সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় আদালতে সাজা ঘোষণা করা হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, গেল বছরের ৮ আগস্ট পর্যন্ত টানা ৩৬ ঘণ্টার ডিউটিতে ছিলেন নিহত ঐ চিকিৎসক। পরদিন সেমিনার হল থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইলেও তীব্র বিক্ষোভের মুখে খুন ও ধর্ষণের মামলা নেয়া হয়।
ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। তারা জানায়, নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহে ডিএনএয়ের নমুনা পাওয়া গিয়েছে, তা সঞ্জয়ের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। সঞ্জয়ের শরীরে পাঁচটি আঘাতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। অপরাধস্থল থেকে যে চুল উদ্ধার করা হয়েছে, তাও সঞ্জয়ের বলে প্রমাণ মিলেছে। পরে সঞ্জয়কেই একমাত্র অভিযুক্ত দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দেয় সিবিআই।
কে