সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
আদিয়াল জেলে বন্দি অবস্থায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ডন পত্রিকার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্দিদের মুক্তি এবং বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবিতে তার দল কোনো আপস করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এই বৈঠকের বিষয়টি মজলিস-ই-ওয়াহদাত-মুসলিমিনের (এমডব্লিউএম) নেতা সিনেটর আল্লামা নাসির আব্বাস ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নিশ্চিত করেছেন।
এক্স (টুইটার) পোস্টে, ইমরান খান পিটিআই-এর আলোচনা কমিটির প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেছেন, আলোচনা অর্থবহ করতে তিনি তার মনোনীত দলের সঙ্গে বিষয়গুলি নিয়ে স্পষ্ট বোঝাপড়া করেছেন। যদিও তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ইমরানের সরাসরি প্রবেশাধিকার নেই।
ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্দিদের মুক্তি এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি মানলে পিটিআই তাদের অসহযোগ আন্দোলন স্থগিত রাখবে। কিন্তু ৯ মে এবং ২৬ নভেম্বরের ঘটনার তদন্তের দাবিকে সরকার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইমরান খান।
সামরিক আদালতের সিদ্ধান্ত ‘অসাংবিধানিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করে ইমরান খান বলেছেন, এসব সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে এবং দেশকে অর্থনৈতিক অবরোধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আইনের শাসন না থাকলে বিনিয়োগ আসবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগ ছাড়া দেশের উন্নতি অসম্ভব।
এমডব্লিউএম নেতা আল্লামা নাসির আব্বাস বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার সফলতা দেশের জন্য কল্যাণকর হবে, কারণ পাকিস্তান ভাবমূর্তি সংকটে রয়েছে।
ইমরান খানের মুক্তি অপরিহার্য বলে মন্তব্য করে আল্লামা নাসির আব্বাস সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ইমরান খানের মুক্তির পর জনগণের উষ্ণ অভ্যর্থনায় পিএমএল-এন নেতারা ‘আতঙ্কিত’।
ডন পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচনা এগোতে হলে সরকারকে পাঞ্জাবে পিটিআইকে কিছুটা ছাড় দিতে হবে। ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি কেন্দ্রীয় সরকার নয়, বরং 'ক্ষমতাবান মহল' দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের শাসকরা জনগণের কথা না শুনে পশ্চিমা শক্তিদের কথা শোনেন। পিটিআই প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ অধিকাংশ পাকিস্তানির অনুভূতিকে শান্ত করবে।
এদিকে, জাতীয় পরিষদে সরকার ও পিটিআই-এর মধ্যে প্রথম দফার আলোচনা শেষ হয়েছে। এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটিআই সরকারের কাছে দাবির তালিকা চেয়েছে।
জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সরকার ও পিটিআই-এর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এই বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়া'র মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। পিটিআই ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে পরবর্তী দফার আলোচনা ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।