সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নিজের পাঁচ বছর বয়সী সন্তানকে প্রথমে হত্যা করেন। তার চাপাতি দিয়ে তার শরীর টুকরো করেন। এরপর ছেলের মাথা রান্না করে খান। এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটিয়েছেন হানা মোহামেদ হাসান (২৯)।
সন্তানকে হত্যার ঘটনায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন মিশরীয় এই মা। আদালত তাকে ‘অসুস্থ অপরাধী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। খবর ডেইলি মেইল’র।
হানা তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে ইউসুফকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় আদালতের বিচারক বলেছেন, সে নির্দোষ দাবি করার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক রায়ে জানা যায়, ‘অস্বাভাবিক অবস্থায়’ ছেলেকে হত্যা করেছেন হানা। তাকে মানসিক ইউনিটে আটকে রাখা উচিত।
কায়রোর উত্তরাঞ্চলীয় ফাকুসে হানার বাড়িতে একটি বালতির ভেতর ইউসুফের দেহের কিছু অংশ পাওয়া যায়। ইউসুফের চাচা সেই খণ্ডাংশগুলো দেখতে পান।
হানাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানায়, ছেলের মাথার কিছু অংশ খাওয়ার কথা স্বীকার করেছে সে। কারণ হানা তার ছেলেকে ‘সারা জীবন নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিল’।
ছেলেকে হত্যার পর বাথরুমে নিয়ে গিয়ে তার দেহ টুকরো টুকরো করেন হানা। এরপর তার মাথা এবং শরীরের অন্য অংশ ফুটন্ত পানি রান্না করে খান তিনি।
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, সাবেক স্বামী যেন ছেলেকে নিজের কাছে নিতে না পারে সেই আশঙ্কা থেকেই এমনটা করেছেন হানা। আর তার মানসিক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তিনি। এজন্য সে গলফের ক্লাব এবং একটি চাপাতি কেনেন। আর ঘরের সব দরজা-জানালাও বন্ধ করে দেন।
এরপর ক্লাব দিয়ে ছেলের মাথায় তিন বার আঘাত করে তাকে হত্যা করেন। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ টুকরো টুকরো করেন। হানাকে এ ঘটনায় কায়রোর মানসিক হাসপাতালে ভর্তি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এইউ