সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ভালোবাসা বিষয়টি আপেক্ষিক। এর ওপর কারও নিয়ন্ত্রণও থাকে না। কখন যে কার প্রতি ভালো লাগা সৃষ্টি হয়ে যায়—সেটা কেউ বলতে পারে না। এই যেমন বলিউড নায়িকা পরিণীতি চোপড়ার কথা ধরা যাক। একবার জানিয়েছিলেন, কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিকে জীবনসঙ্গী করবেন না। অথচ তিনিই কি না ভালোবেসে বিয়ে করলেন ভারতের আম আদমি পার্টির সংসদ সদস্য রাঘব চাড্ডাকে।
রাজস্থানের উদয়পুরের লীলা প্যালেসে ২৪ সেপ্টেম্বর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন রাঘব-পরিণীতি। পরিবার-পরিজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাক্ষী রেখেই মালা বদল করলেন তারা। এর আগে গেল মে মাসে বাগদান সম্পন্ন হয় তাদের।
তবে পরিণীতির জীবনে রাঘবই প্রথম পুরুষ নন। এর আগে একাধিক পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। এই তালিকায় প্রথমে আছেন অর্জুন কাপুর। ২০১২ সালে তার বিপরীতে অভিনয় করেই বলিউডে নায়িকা হিসেবে হাতেখড়ি হয় এই বলিউড সুন্দরীর। ছবির নাম ছিল—ইশকজাদে। সেই সময় কানাঘুষা শোনা গিয়েছিল, ক্যামেরার সামনে তো বটেই— ক্যামেরার পেছনেও নাকি একে অপরের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন তারা। তবে সেই জল্পনায় কখনও সিলমোহর দেননি পরিণীতি বা অর্জুন কেউই। দুজনে এখন অবশ্য ভীষণ ভালো বন্ধু।
আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গেও প্রেমের খবর শোনা গিয়েছিল পরিণীতির। ২০১৪ সালে ‘দাওয়াত-এ-ইশক’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তারা। এই ছবিতে অভিনয়ের সূত্র ধরেই কাছাকাছি এসেছিলেন এ জুটি। যদিও ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। সিনেমার মতো পরে তাদের প্রেমটাও ব্যর্থতায় রূপ নেয়।
পরিচালক মনিশ শর্মার সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল পরিণীতির। ক্যারিয়ারের শুরুতে এই পরিচালকের ‘লেডিজ ভার্সেস রিকি বেহেল’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই নাকি তার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয় তার। যদিও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি তাদের কেউই।
অকাল প্রয়াত নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গেও প্রেম করেছেন পরিণীতি। ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’ ছবিতে অভিনয়ের সময় সম্পর্কে জড়ান তারা। মজার বিষয় হলো, এই ছবির পরিচালক ছিলেন তার প্রাক্তন মনিশ শর্মা।
যশরাজ ফিল্মসের হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ পরিণীতির। সেই সুবাদে উদয় চোপড়ার সঙ্গে অভিনেত্রীর পরিচয় বহু দিনের। শোনা যায়, দুজনের সেই বন্ধুত্বই গড়িয়েছিল প্রেমে। একাধিকবার একসঙ্গে সবার সামনে ধরা দিলেও কখনও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি তারা।
সহকারী পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে বলিউডের অন্যতম পরিচিত মুখ চরিত দেশাই। তার সঙ্গে বেশ কয়েক বছর নাকি চুটিয়ে প্রেম করেছেন পরিণীতি। এমনকি, প্রিয়াঙ্কা-নিকের বিয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল তাকে। ভাবা হয়েছিল, শেষমেশ চরিতের সঙ্গেই সাত পাক ঘুরবেন তিনি। তবে তা হয়নি।
চরিতের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই রাঘবের প্রেমে পড়েন পরিণীতি। দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেমের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা।
আরএসও