সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
প্রশাসনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার পর চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি (চুয়েট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাই আগামী ৯ মে পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কর্তৃপক্ষ। তবে এসময় শিক্ষার্থদের সুবিধার্থে আবাসিক হলগুলো খোলা থাকবে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহপাঠী নিহত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নিদ্শে দেয় চুয়েট কর্তৃপক্ষ।
পরে প্রশাসনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার পর চলমান আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা। এ কারণে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হলত্যাগে যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল তা থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর প্রাণহানি হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালককে গ্রেপ্তার করার দাবি ছিল। সেই দাবি পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে, যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সড়কটি পর্যন্ত প্রশস্ত করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তারা। এসব দাবি পূরণ কিংবা আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিপি/