সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
দেশে চলমান ডলার সংকটের কারণে চাহিদামতো এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। তারপরও ডলারের দাম কমাচ্ছে ব্যাংকগুলো। গত ২২ নভেম্বর সবক্ষেত্রে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানোর পর দ্বিতীয় দফায় আরও ২৫ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী রোববার (৩ ডিসেম্বর) থেকে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় ও ডলার ক্রয়ে দাম কমবে ২৫ পয়সা।
গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) এবিবির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কিনতে ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা, আগে যা ছিল ১১০ টাকা। আর আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেওয়া যাবে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা, যা আগে ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। তবে প্রবাসী আয়ে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকও একই পরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারবে। ফলে প্রবাসী আয় পাঠালে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১১৪ টাকা ৭৫ পয়সা পাবেন উপকারভোগীরা।
এবিবি ও বাফেদার এ রকম সিদ্ধান্তে প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে বলে জানান ব্যাংকাররা। তারা বলেন, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ডলারের দাম বাড়তে না দিয়ে স্থানীয় মুদ্রা টাকাকে শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয়ে। ইচ্ছামতো প্রণোদনা দেওয়ার সুযোগ অনেক ব্যাংক কাজে লাগিয়েছে। তাই শুরুতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছিল। এখন কড়াকড়ি করার পাশাপাশি ডলারের দর কমায় শেষদিকে রেমিট্যান্স বৈধ পথে আসছে না। তাই রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে।
এবিবি ও বাফেদার এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্তের ফলে পরবর্তীকালে রেমিট্যান্স আরও কমবে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৩৯ মিলিয়ন ডলার। পরবর্তী ১৪ দিনে এসেছে ৬৮৯ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ প্রথম দিকে রেমিট্যান্স আসার যে প্রবাহ ছিল, তা শেষ দিকে এসে কমে যাচ্ছে।
আজকে আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায়। তবে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হয়েছে ১২৪ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১২৪ টাকা পর্যন্ত। যদিও মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর জন্য ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা কেনা ও সর্বোচ্চ ১১৭ টাকায় বিক্রির দর নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু এ দামে ডলার পাচ্ছে না বলে বলছে মানি চেঞ্জারগুলো।
জানা যায়, ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে সময়ে সময়ে এই সংগঠন দুটি ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে। এ দুটি সংগঠন মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে তারা সময়ে সময়ে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করছে। তবে এ দুই সংগঠন ডলারের দর নির্ধারণের দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন এই মুদ্রার দাম আগের তুলনায় কখনও কমানো হয়নি। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানেই দুইবার কমানো হয়েছে।
এর আগে, গত ২২ নভেম্বর প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা কমিয়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা এবং আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
টি