সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের নিজবলাইল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে টিনের ঘরে থাকতেন জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মৌলভীবাজার থেকে পুলিশের হাতে আটক সানজিদা খাতুন। বাবার মৃত্যুর পর ছয়-সাত বছর বয়স থেকে বগুড়া শহরের সরকারি শিশু পরিবারে বড় হয়েছেন তিনি। তবে বছর পাঁচেক আগে তার মা আনজুমান আরা স্থানীয় লতিফ সরকারকে বিয়ে করলে এই পরিবারের সঙ্গে পরিচয় ঘটে সানজিদার। পরবর্তীতে তার বিয়ে হয় সৎ ভাই অর্থাৎ লতিফ সরকারের ছেলে রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে।
২০১৬ সালে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর এক জঙ্গি আস্তানা থেকে রাশেদকে আটক করে পুলিশ। সেসময় জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কারাভোগও করতে হয়েছিল তাকে। সদ্য বেড়ে ওঠা সানজিদাকে এই পথে আনতে প্ররোচিত করতে পারে তার স্বামী রাশেদুল এমনটাই মনে করেন প্রতিবেশীরা। তবে কয়েক বছর যাবত রাশেদের কোনো জঙ্গি তৎপরতার খবর না পাওয়া গেলেও, জঙ্গি আস্তানা থেকে তার স্ত্রী সানজিদাকে আটকের খবরে বিস্মিত হয়েছেন স্থানীয়রা।
২০০৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বগুড়া সরকারি শিশু পরিবারে বেড়ে ওঠে সানজিদা। তাকে শান্ত স্বভাবের বলেই চিনতেন শিশু পরিবার কর্তৃপক্ষ। এক বছর আগে অভিভাবকরা তাকে নিয়ে যাবার পর থেকে তার তেমন কোনো খোঁজ সংস্থাটি জানে না।
এদিকে সানজিদার স্বামী রাশেদুল ইসলাম মাসে দুই-তিন বার বাড়িতে আসত। সর্বশেষ ১২ দিন আগে কর্মস্থল নওগাঁয় ভাড়া বাসায় ওঠার কথা বলে এই দম্পতি বাড়ি ছাড়ে।
গত শনিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। পুলিশ বলছে, সানজিদা-রাশেদ দম্পতি যে সময় বাড়ি ছেড়ে যান কাছাকাছি সময়ে সিরাজগঞ্জ ছাড়েন একই অপারেশনে আটক মাইশা ও তার স্বামী ডাক্তার সোহেল তানজিমও। সোহেল ও রাশেদ দুজনই মৌলভীবাজারের ‘অপারেশন হিলসাইড’ এর পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
এইউ