সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ধরলা নদীতে ডুবে নিখোঁজের তিনদিন পর ভারত সীমান্তে মমিনা খাতুন (৩০) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার খারিজা জোংড়া জুগিটারী সীমান্ত দিয়ে মরদেহটি ফেরত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ সময় ওই নারীর স্বজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মমিনা খাতুন হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের। ৫ আগস্ট পাটগ্রাম উপজেলার খারিজা জোংড়া যুগিটারী সীমান্তে ধরলা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি।
বিএসএফ সদস্যরা শীতলখুচি এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। পরিবারের লোকজন ভারতে বসবাসকারী আত্মীয়দের খবর দিলে তারা শীতলখুচি এলাকার বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করেন।
৭ আগস্ট সোমবার খারিজা জোংড়া সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ এর পতাকা বৈঠকের পর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মমিনা খাতুনের মরদেহ বিজিবি ও পাটগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওই নারীর ভাই আব্দুল খালেক বলেন, সীমান্তের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি হাফিজুল ইসলাম আমার মানসিক প্রতিবন্ধী বোন মমিনা খাতুনকে নদীতে নামতে দেখেন। পরে বোন নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি কর। পরে জানতে পারি ভারতে এক অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে মরদেহ শনাক্ত করি। বিজিবি ও বিএসএফের মাধ্যমে কাগজপত্র জমা দিয়ে তিনদিন পর মরদেহ পেয়ে রাতেই দাফন করি।
বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, মমিনা খাতুন দীর্ঘদিন থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। নিখোঁজের পর ভারত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুর রহমান বলেন, ভারতীয় বিএসএফের কাছ থেকে ওই নারীর মরদেহ নেওয়া হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ওই নারীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেবি