সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর অলিরঘাট পারাপারে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। একটি ব্রিজের অভাবে স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। স্বাধীনতার আগ হতেই এই ভোগান্তি নিয়ে ৫টি গ্রামের মানুষ জীবনযাপন করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে যাওয়া প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো গনকপাড়া গ্রামে সীমানা সংলগ্ন করতোয়া নদীর অলির ঘাট। নদীর ঘাট হতে ঘাটের কিনারা অনেক উচ্চতা (উঁচু) হওয়ায় নদী পারাপারে ভ্যান, রিকশা, সাইকেল, মটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। আর এ কারণে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া, জাফর, মুংলিশপুর, পালপাড়া, শীলপাড়া, জাইতরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এপার থেকে ওপারে শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলতেই পারে না। নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয় এবং নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকার ব্যবস্থাও থাকে না। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেন আরও বেড়ে যায়। প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল, কলেজপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী, এনজিওকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই অলিরঘাট দিয়ে।
জনপ্রতিনিধিরা বছরের পর বছর প্রতিশ্রুতি দিলেও ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্যদিনের সঙ্গী। অলিরঘাট পেড়িয়ে পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটের দুরুত্ব ২ কিলোমিটার। যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে ২ কিলোমিটারের এর জায়গায় পথচারীদের ঘুরতে হয় অন্তত ৮ কিলোমিটার রাস্তা। তাই এ ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। পথচারীরা এই ঘাট পার হয়ে বৃহত্তর হাট-বাজারগুলোতে যাতায়াত করে থাকেন। সাধারণ মানুষের দাবি এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আশেপাশের গ্রামের মানুষও এই ঘাট দিয়ে পার হয়। বিশেষ করে আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাটে ব্যবসা বাণিজ্য ও হাট-বাজার করেন। তারা অন্য ঘাট দিয়ে পার হয়ে দুপুরে বাড়িতে যখন আসে, তখন নদীর ওইপারে গাড়ি, সাইকেল রেখে আসতে হয়। শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে পারাপারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা পোহাতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ খুব দরকার।
উপজেলার সচেতন মহল বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষ পারাপারের জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে সবার অনেক উপকার হবে। তখন আর কারও সমস্যায় পড়তে হবে না। মানুষের যাওয়া আসা অনেক সহজ হবে। ৫টি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি কমে আসবে।
উপজেলা প্রকৌশলী তপন চক্রবর্তী জানান, আমি উপজেলায় নতুন যোগদান করলেও এর আগে জেলা অফিসে ছিলাম। জানা মতে, জেলার অনেকগুলো ব্রিজ নির্মাণের আবেদন পাঠানো হয়েছে। উক্ত স্থানের বিষয়ে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ হলে উক্ত স্থানটি পরিদর্শন করে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রয়োজনীয় আবেদন জানানো হবে।
অ