সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার করার অভিযোগ উঠেছে। বাঁধ কেটে দেওয়ায় হাওরের হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল উৎপাদনের সমস্যার সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এতে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে উপজেলার পাঁচহাট গ্রামের আপনুজ্জামান আপন নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পাঁচহাট গ্রামের সামনে বিশাল হাওর। ওই হাওরে পাঁচহাট গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের সহস্রাধিক হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। হাওরে কেওরালা নামের একটি জলমহাল রয়েছে। ওই জলমহালে মাছ ধরার জন্য বয়রা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ছয় বছরের জন্য ইজারা পায়। জলমহালের পাশেই রয়েছে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ। মাছ ধরার জন্য ওই ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে ভিম জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে জলমহালের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ। এতে করে ফসল রক্ষা বাঁধ ও হাওরের কয়েক হাজার বোরো ফসলের জমি চাষাবাদের হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রভাবশালীদের মাছের লোভে স্থানীয় কৃষকরা তাদের জমি আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ফসল রক্ষা বাঁধ রক্ষার জন্য গত ১৪ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দিয়েছেন আপনুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ জানান, বর্ষার পানিতে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। আমার জলমহালের পাশেও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জাল দিয়ে মাছ আটকে রেখেছি। আমি কোনো বাঁধ কেটে দেইনি। শত্রুতা করে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাসিব উল আহসান জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান জানান, বাঁধ পরিদর্শন করে সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অ