সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ডাকাত ভয়ে পদ্মা-যমুনা নদী নিরাপদে মাছ ধরতে পারছে না বৈধ জেলেরা। রাতে নৌপুলিশের টহল না থাকায় পরতে হচ্ছে ডাকাতের কবলে। এমনি কথা বলেন রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীর পারের ডাকাত কবলে নির্যাতনের শিকার একাধিক জেলে।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজবাড়ী জেলায় দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জ জেলায় পাটুরিয়া পদ্মা-যমুনা নদীতে প্রায় দুই শতাধিক জেলে নৌকা ইলিশ মাছ, পাঙ্গাস, রুই, বোয়াল, কাতল মাছসহ বড় বড় বিভিন্ন প্রকার মাছ শিকার করে। তবে জেলে নৌকায় এখন পর্যন্ত কোনো সময় ডাকাতের কবলে পরতে হয়নি। শান্ত পরিবেশে জেলেরা জাল দিয়ে মাছ শিকার করে।
পদ্মা-যমুনা নদীতে মাছ শিকার করা জেলে কালিপদ মালো বলেন, রাত ১২চার দিকে একটি স্পীড বোর্ড নিয়ে এসে প্রথমে দুইটি মাছ চায়। পরবর্তীতে আমাদের সকলের অস্ত্রেও মাধ্যমে জিম্বি করেন এবং নৌকায় থাকা ১৪/১৫ কেজি ইলিশ মাছ, নগত টাকা, মোবাইল, লাইট নিয়ে যায়। যাওয়ার পূর্বে শারীরিক নির্যাতন করে।
এই জেলে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমরা যদি ডাকাতের কারণে নদীতে মাছ ধরতে না পারি তাহলে মাছের দাম আরোও বৃদ্ধি পাবে। আমাদের থাকতে হবে অনাহারে। এসময় বাসুদেব হলদার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ পদ্মা-যমুনা নদীতে বড় বড় মাছ ধরি। কখনও ডাকাতের কবলে পরতে হয়নি। এই প্রথম মাঝ রাতের দিক একদল ডাকালের কবলে পরি। ডাকাত দল মাছসহ সকল কিছু নিয়ে গেছে এবং আমাদের নির্যাতন করেছে।
রাজবাড়ী জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. অছেল বলেন, গত রাতে কালীপদ মালো, বাসুবেদ হলদার, তারা মণ্ডল হলদার ও গোবিন্দ্র হলদারসহ মোট ৪টি জেলে নৌকায় ডাকাতি হয়েছে। রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে মাঝ রাত পর্যন্ত ডাকাতি করেছে। এ সময় সকল জেলেরা একজোট হয়ে ডাকাতে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
দৌলতদিয়া মাছ ব্যবসায়ী ও দৌলতদিয়া ঘাট বাজার ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি মো. মোহন মণ্ডল ডাকাতের ঘটানা নিশ্চিত করে বলেন, পদ্মা-যমুনা নদীতে কখনও মাছ ধরা জেলেরা ডাকাতের কবলে পরেনি। এই প্রথম রাজবাড়ী জেলায় পদ্মা নদীতে জেলেরা ডাকাতের কবলে পরেছে। তবে, আশাকরি জেলেদের নিরাপদ নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য রাতে পুলিশ টহল দেবে।
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. ছগির বলেন, এমন অভিযোগ আমি এখনো পাইনি। দিনের বেলায় পদ্মা-যমুনা নদীতে পুলিশ টহল দেওয়া হয়। তবে, রাতে টহল দেওয়া হয় না। আমরা পরিস্থিতি বুছে ব্যবস্থা নেব।
কে