সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বগুড়া শহরের মালতিনগরে বসতবাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত তাসনিম বুশরা (১৪) মারা গেছে।
শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুশরা মারা যায়।
বুশরার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার মামা রাশেদুল রিপন বলেন, সেদিন বিস্ফোরণে তার ভাগ্নি দগ্ধ এবং দেওয়াল চাপায় গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনিত হওয়ায় ওই রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার অপারেশন করা হয়। কিন্তু সে শঙ্কামুক্ত ছিল না। অবশেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল রোববার রাত ৯টায় মালতিনগর দক্ষিণপাড়া এলাকায় রেজাউল ইসলামের বাড়িতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বসতবাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে যায় এবং বাড়ির সামনের দুটি ঘরের ইটের দেয়াল ধসে পড়ে। বিস্ফোরণের সময় বাড়ির মালিক রেজাউলের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার, ভাতিজি জিম ও প্রতিবেশী তাসনিম বুশরা আহত হন।
ঐ বাড়ির মালিক রেজাউলের মা রেজিয়া ও তার ছোট ভাই রাশেদুল দীর্ঘদিন ধরে পটকা তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিলেন। ঘটনার রাতেই পুলিশ বাড়ির মালিক রেজাউলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সোমবার পুলিশ বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখসহ অসংখ্য অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করে। পরে সোমবার রেজাউলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ঘটনার পর থেকে রেজাউলের মা রেজিয়া বেগম ও ভাই রাশেদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, বুশরার মৃত্যুর বিষয়টি জানা নেই। তবে শুরু থেকেই তার শারীরিক অবস্থা শঙ্কার মধ্যে ছিল। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি