সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
লাইসেন্স ও পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় ৩টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুইদিন না পেরোতেই আবার ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেখানে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে। কাটা হচ্ছে পাহাড়ও। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে এসব ইট ভাটার অবস্থান।
জানা গেছে, জয়নাল আবেদীনের মালিকানাধীন জেএসবি (হাজী ব্রিকস), মো. আবুল কালামের মালিকানাধীন কে আর এস এবং শাহারিয়ার বাবুল কোম্পানীর মালিকানাধীন এসএসবি ইটভাটাগুলো কোনোধরনের লাইসেন্স বিহীন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া গত কয়েকমাস ধরে ইট পুড়িয়ে আসছিল।
খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার (২০ফেব্রুয়ারি) বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ইটভাটাগুলোর ড্রাম চিমনি কেটে এবং ইট তৈরির কাঁচামাল ধ্বংস করা হয়। কিন্তু অভিযানের দুই দিন না পেরোতেই এসব ইটভাটায় পুনরায় ইট পুড়ানো কাজ শুরু করেছে মালিকপক্ষ। নতুন করে ড্রাম চিমনী তোলা হয়েছে।
প্রশাসনের অভিযানে বন্ধ করে দেওয়ার পর পুনরায় ইটভাটাগুলো চালু করায় স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন প্রশাসন নাকি ইটভাটার মালিক শক্তিশালী? তবে এ সম্পর্কে জানতে ইটভাটার মালিকদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
তবে অপরিচিত মোবাইল থেকে কল করা হলে জেএসবি ইটভাটার মালিক জয়নাল আবেদীন, ইটভাটা পুনরায় চালু করার কথা স্বীকার করেন। এই বিষয়ে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইটভাটাগুলো পুনরায় চালু হয়েছে কিনা তার জানা নেই। কারণ অভিযানের সময় ভাটাগুলো সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন কাজ করলে আগামী মাসের মধ্যে আবারো অভিযান চালানো হবে।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘আমি নিজেও দেখেছি, ইটভাটাগুলো পুনরায় চালু করেছে’। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি, দ্রুত ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ঘুমধুম ইউনিয়নে খুব কাছাকাছি এলাকায় অন্তত ৫টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ সরওয়ার হারেজ এর মালিকানাধীন কেআরই, সাজু বড়–য়ার ডিএসবি, ফরিদ আহম্মদের বিবিএম, জয়নাল আবেদীনের জেএসবি ও আবুল কালামের মালিকানাধীন কেআরএস ইটভাটার কোনোটির লাইসেন্স ও পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। প্রশাসন মাঝেমধ্যে এসব ইটভাটাগুলোতে অভিযান চালালেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ চোখে দেখেনি স্থানীয়রা।
ইটভাটা মৌসুম শুরু থেকে প্রশাসন অভিযান ও বন্ধ করে দেওয়ার কথা বললেও তা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইটভাটা মৌসুম শেষ হয়ে যায় এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।