সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নতুন চাকরি পেয়ে স্ত্রী ও চার বছর বয়সী শিশুপুত্রকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন রতন প্রামাণিক (২৮)। পথে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাসটি থেমে যায়। সারতে সময় লাগছিল। এ ফাঁকে স্ত্রীকে বাসের সিটে বসিয়ে রেখে শিশুপুত্র সানিকে প্রস্রাব করানোর জন্য মহাসড়ক সংলগ্ন রেললাইনের পাশে নিয়ে যান রতন।
ছেলেকে প্রস্রাব করানোর পর তিনি নিজেও প্রস্রাব করছিলেন। এ সময় ছেলে রেললাইনে উঠে পড়ে। ওদিকে ট্রেনও কাছাকাছি চলে আসে। দৌড়ে ছেলেকে বাঁচাতে যান রতন। তবে সন্তানকে বাঁচাতে পারেননি। ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান বাবা-ছেলে। এ সময় রতনের শিশুপুত্রকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান একই বাসের যাত্রী শরিফ মণ্ডল (৪০)।
নিহত রতন নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল আদগ্রামের আলাউদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। শরিফ রাজশাহীর বেলপুকুর মাহিন্দ্রাগ্রামের আলম মণ্ডলের ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর আনালিয়াবাড়ি এলাকায়।
নিহত রতনের পরিবারের সদস্যরা জানান, স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কর্মস্থল ঢাকায় যাচ্ছিলেন রতন প্রামাণিক। বিকেল ৪টার দিকে আদগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাসে ওঠেন তারা। পথে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাতেই তিনটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনরা এলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
জেবি