সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শেরপুরে কবর থেকে কঙ্কাল চুরির সঙ্গে জড়িত মূলহোতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরপুর পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের সামাজিক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনায় জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলা থেকে প্রথমে চার চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গতকার বুধবার রাতে এ চুরির ঘটনায় মূলহোতা আরও দু’জনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলো নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে মো. সোহেল রানা (৩০) এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান উপজেলার পশ্চিম রাজদিয়া গ্রামের মনির হোসেন হাওলাদারের ছেলে মো. রাসেল হাওলাদার (৩২)। এরা মূলত পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ক্যামিকেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
এর আগে কঙ্কাল চুরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার রজনগর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে গোলাম রাব্বানী (৫০), পশ্চিম রাজনগর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৫), সদর উপজেলার চান্দের নগর গ্রামের হাবিবরের ছেলে আব্দুর রহিম (৪২) এবং নকলা উপজেলার মেদির পাড় গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে সোহেল রানা (৩৫)।
প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম জানায়, প্রথমে গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে কেউ ভ্যানচালক, কেউ অটোচালক, আবার কেউবা মুদি দোকানদারসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িত। তারা প্রতি কঙ্কাল ১০ টাকা বিক্রির আশায় বিভিন্ন গ্রামের কবর থেকে কঙ্কাল চুরি করে ওই মূলহোতাদের কাছে বিক্রি করে। পরে তারা ওই ক্যামিকেলের মাধ্যমে কঙ্কালগুলো পরিষ্কার করে মেডিকেল কলেজের ইন্টার্নি ডাক্তারসহ মেডিকেল কলেজের বিভিন্নজনের কাছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে থাকে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত চার চোরের মধ্যে একেক জন ২০টি থেকে ৪০টি পর্যন্ত কঙ্কাল চুরি করেছে বলে স্বীকার করেছে। পুলিশের কাছে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নকলা উপজেলার সোহেল রানা স্বীকার করেছে যে ওই উপজেলার নারায়ণখোলা গ্রামেই প্রায় শতাধিক ব্যক্তি এ কঙ্কাল চুরির সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রেক্টিক্যাল ক্লাসের জন্য প্লাস্টিক কঙ্কালের নির্দেশনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি সে নির্দেশনা মেনে চলে তবে কঙ্কাল চুরি কমে যাবে।
প্রেসব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ফকরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল এবং অভিযান পরিচালনাকারী এস আই নাইমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা।
জেবি