দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শেরপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলামের পক্ষে ভোট চাওয়া ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের অপরাধে শেরপুরে চার বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উল্লেখ আছে।
বহিষ্কার আদেশপ্রাপ্ত চারজনের মধ্যে তিনজনই বর্তমানে শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও একজন পৌর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা।
একসঙ্গে তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার করার বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে বহিষ্কার আদেশকে স্বাগত জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
বহিষ্কার আদেশপ্রাপ্তরা হলেন, শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও তাতিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ, জেলা বিএনপির সদস্য ও কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন, ভেলুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ভেলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম ও শেরপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেন সেলু।
শ্রীবরদী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন দুলাল বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল অনেক বড়। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে। আর এই স্বার্থপর নেতারা দলীয় পদ পদবী বহন করেও শেরপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলামের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে ভোট প্রার্থনা করছেন।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন। আমরা তাদের একাধিকবার সতর্ক করেছি। কিন্তু তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাজগুলো করছেন বিধায় কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের এই আদেশ অন্যান্য নেতাকর্মীদের শিক্ষার অংশ হয়ে থাকবে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেন, আমাকে আর কত বহিষ্কার করবে ? এর আগেওতো আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন বলেন, আমাদের জেলা বিএনপির সভাপতিও এর আগে নৌকার পক্ষে কাজ করেছে। তখন দুষ হয় না? এ ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন বলেও তিনি জানান।
এছাড়াও ভেলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা স্বীকার করেন।
তবে এই বহিষ্কারের আদেশের ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেবি