দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে হস্তক্ষেপ চেয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোববার এ চিঠি ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসে দেয়া হয়েছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের দপ্তর চিঠিটি গ্রহণ করেছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে চিঠির বিষয়টি তুলে ধরেন রুহুল কবীর রিজভী।
চিঠিতে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করতে রাষ্ট্রীয় মদদে অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা চলছে। সেখানে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী নিজেরা তালিকা করে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিশেষত অগ্নিসন্ত্রাসের বানোয়াট অভিযোগে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের টার্গেট করছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
পাঠানো চিঠিতে বিএনপি জানিয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটি বিতর্কিত নির্বাচনের পটভূমিতে আবারও আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে একটি প্রহসনমূলক ও সহিংস কারচুপির নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সহিংসতার বিষয় উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, চলমান অগ্নিসংযোগের প্রতিটি ঘটনায় একটি সুনির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যার একমাত্র সুবিধাভোগী আওয়ামী লীগ ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্র। আর প্রধান ভুক্তভোগী বিএনপি। ক্ষমতাসীন শীর্ষ নেতৃত্ব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো তদন্ত, তথ্য বা সূত্র ছাড়াই প্রতিটি ঘটনার পরপর অবলীলায় ও একই সুরে অগ্নিসন্ত্রাসের দায় বিএনপির উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকায় চলন্ত ট্রেনের তিনটি বগিতে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং এতে চার যাত্রী নিহত হন। রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি চিহ্নিত অংশের যোগসাজশে এই নাশকতা সংঘটিত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের দুই দিন আগেই ১৯ ডিসেম্বর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিশেষভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা, জরুরি পরিষেবা, ডাক্তার এবং অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এখানে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, এই নির্দেশনাটি কোনো কাকতালীয় বিষয় নয়। ডিএমপির এই প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছিল, নাশকতার সুস্পষ্ট তথ্য ও পরিকল্পনা তাদের কাছে কীভাবে এলো এবং তারপরও এটি রোধে কেন তারা কোনো ব্যবস্থা নেইনি, জনমনে এসব প্রশ্ন রয়েছে।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বানোয়াট ও গায়েবি মামলাসমূহ সাজানো হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারে বিএনপির আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের যৌথ এই উদ্যোগ আসলে সরকারের মাস্টার প্লানেরই অংশ। সরকার প্রথমে মিডিয়া কাভারেজ দিয়ে নাশকতার ঘটনা তৈরি করে। এরপর বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিসমূহের উপর দায় চাপিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করে।
এও