সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ-যশোর হয়ে খুলনা অভিমুখী রোডমার্চ করবে বিএনপি। এই রোডমার্চ উপলক্ষে যশোর থেকে ব্যাপক নেতাকর্মীদের উপস্থিতির টার্গেট নিয়েছে জেলা বিএনপি। তবে এই রোডমার্চে যশোর থেকে যেসব বিএনপি কর্মীরা অংশ নেবে তারা আর যশোরে ফিরতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের চৌরাস্তা মোড়ে আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশে’ তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। বিএনপির আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও ও পদযাত্রার বিরুদ্ধে এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। যশোরে বিএনপির রোডমার্চের আগের দিন সোমবার বিকেলে শান্তির সমাবেশের নামে নিজেদের শক্তির মহড়া দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। জেলার ৮টি উপজেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে এই শান্তি সমাবেশ হয়।
সমাবেশে যশোরের বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শাহীন চাকলাদার বলেন, আগামী ২০৪১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। ফলে লন্ডন থেকে তারেকের কথা শুনে যদি যশোরে বিশৃঙ্খলা করেন তাহলে কিন্তু আপনারা বিপদে পড়বেন। আপনাদের নেতা কিন্তু বাঁচাবে না। যারা বিএনপির নেতাদের কথা শুনে ঢাকার সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন, পদযাত্রা, রোডমার্চে অংশ নেবেন তাদের আর যশোরে ফিরতে দেওয়া হবে না। আপনাদের বাড়ির পাশে কিন্তু অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বসবাস। তারা কিন্তু আপনাদের বাড়িঘর সব চেনে। ফলে পরবর্তীতে কী ঘটবে সেটা আর এখানে বললাম না! কালকের রোডমার্চে যশোরে যদি আগুন সন্ত্রাস করেন, তাহলে কিন্তু খেলা হবে। তারেকের কথা শুনে যশোরে কিছু করলে (বিশৃঙ্খলা) বিপদে পড়বেন, মামলা খাবেন; মামলায় যদি না থামেন; তাহলে কিন্তু আমাদের কাছে মার খাবেন। যশোরের ৮ উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদককে নির্দেশ নিয়েছি; বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে খোঁজখবর রাখতে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডা. নাসির উদ্দিন, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সামির ইসলাম পিয়াস, ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান, ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ, জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি ইয়াকুব আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল, যশোর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী। সমাবেশ পরিচালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপু।
এদিকে রাস্তা বন্ধ করে শান্তি সমাবেশ করাতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিকল্প সড়কগুলোতেও দেখা দেয় যানজট। সরেজমিনে দেখা গেছে, শান্তি সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয় শহরের চৌরাস্ত মোড়ে। এতে শহরের কেন্দ্রস্থল দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন। শহরে ঢোকার প্রধান সড়কে সমাবেশ করায় বিকল্প ছোট সড়কগুলোতে দেখা দেয় তীব্র যানজট।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শহরের চৌরাস্তাতে সমাবেশ করার অনুমতি নিয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আটকে সমাবেশ করলেও মানুষের ভোগান্তি হয়নি দাবি এই কর্মকর্তার। তার ভাষ্য, ভোগান্তি কমাতে শহরের অন্য সব রাস্তাতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন ছিল। তারা অন্য সড়ক দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করেছে।
এইউ