সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বগুড়ায় শিক্ষক গোলাম রব্বানী, এরুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আলম শেখ ও নির্দোষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় বেলা সাড়ে ১১টায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে বানদিঘী এলাকার সচেতন এলাকাবাসী।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, গত ৮-১০ দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের বানদিঘী গ্রামের ‘আশিক সরকার’ নামের এক ব্যক্তির হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার খবর প্রকাশিত হচ্ছে। উক্ত ঘটনা রাতের আঁধারে কে বা কারা ঘটিয়েছে তা আমাদের সবারই অজানা। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশিক সরকারের ভাই বানদিঘী মন্ডলপাড়ার সর্বপরিচিত দাদন ব্যবসায়ী ‘সুদখোর লালন সরকার’ সম্পূর্ণ অনুমানের ওপর ভিত্তি করে গত (৫ সেপ্টেম্বর) বগুড়া সদর থানায় একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
মামলায় আসামি করা হয় বানদিঘী এলাকার জনপ্রিয় শিক্ষক গোলাম রব্বানী, এরুলিয়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আলম, মেম্বারের ছেলে শরিফসহ আরও কয়েকজন নির্দোষ ব্যক্তিকে। ভিত্তিহীন এই মিথ্যা মামলায় ইউপি সদস্যসহ ৪ জন বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। সুদখোর লালন তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে মামলা করে এলাকার নির্দোষ ও সম্মানিত ব্যক্তিদেরকে হয়রানি করছে। আমরা সচেতন এলাকাবাসী হিসেবে এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে বগুড়া সদর থানা পুলিশকে জানাতে চাই, অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা থেকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সব নির্দোষ ব্যক্তির নাম ও বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ করছি সুদখোর লালনের একপেশে বানোয়াট কাহিনী প্রচার না করে, উক্ত ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে সত্য খবর প্রকাশ করার জন্য। এই মামলা প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্যের স্ত্রী মোছা. মনিরা বেগম, ইউপি সদস্যের পুত্রবধু মোছা. তহমিনা বেগম। শিক্ষক গোলাম রব্বানীর ভাতিজা মো. আলফাজ, আব্দুর রহমান, রায়হান শেখ, মো. মিরাজুলসহ এরুলিয়া ইউনিয়নের শতাধিক সচেতন এলাকাবাসী।
এইউ