সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শিবালয় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান মিম মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ ওঠে। তার এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রচারিত হয়। সমালোচনার ঝড় ওঠে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে। এই মধ্যে নাজমুল হাসান মিম পেলেন শিবালয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১১ নম্বর সদস্য পদ। এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা ও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান খান জানুর স্বাক্ষরিত অনুমোদিত কমিটিতে ১১ নম্বর সদস্য পদ দেওয়া হয়। নাজমুল হাসান মিম শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান মিমের মাদক সেবনের একটি ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে ছাত্রলীগ নেতাকে একটি ঘরের মধ্যে বসে ইয়াবা সেবন করতে দেখা যায়। ৪৮ সেকেন্ডের ইয়াবা সেবনের ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর অদৃশ্য কারণে ভিডিও সরিয়ে নেওয়া হয় ওই ফেসবুক প্রোফাইল থেকে। তবে অনেকেই ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে রেখেছে বলে জানা যায়। যদিও তিনি এ বিষয়ে দাবি করেন, ভিডিও ফুটেজের ব্যক্তি তিনি নন। ছবি ও ভিডিও সুপার এডিটিং করা বলে দাবি তার।
এ বিষয়ে নাজমুল হাসান মিম বলেন, যে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে তা পাঁচ বছর আগে সুপার এডিটিং করে প্রচারিত হয়েছে। তখন ছাত্রলীগে তার কোনো পদ ছিল না। এ ভিডিও ঘিরে অনেক গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচারিত হয়েছিল। তারপরও তিনি জেলা ছাত্রলীগ কমিটির সাংগঠনিক পদ পেয়েছেন এবং সম্প্রতি শিবালয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১১ নম্বর সদস্যপদ পেয়েছেন। তার বাবার ও তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি মহল তার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
নাম ও ছবি প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলেন, স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির কাছের লোক হওয়ায় নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে কমিটিতে এসব মাদকসেবীদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এসব মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তারা।
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান খান জান বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন। এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকলে সদস্য পদ পেতেই পারে। তবে ছাত্রলীগ রাজনীতির স্লোগান হচ্ছে শিক্ষা শান্তি প্রগতি। ছাত্র রাজনীতি হওয়া উচিৎ মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত। ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ন পদে অবশ্যই তার মধ্যে ক্লিন ইমেজের মধ্য থেকেই হওয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।
এইউ