সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজধানীর ঢাকার নিকটতম জেলা গাজীপুরের পাঁচটি নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তৎপরতা চলছে। আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি'র দুই দলেরই একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তারা নানা হিসাব-নিকাশ করে পথ চলছেন। তবে আওয়ামী লীগে সম্ভাব্য প্রার্থী বেশি।
গত সংসদ নির্বাচনে জেলা পাঁচটি আসনের সবকটিতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হন। তারা এবারও প্রার্থী হবেন। এদিকে বিএনপি আসনগুলো উদ্ধারে মরিয়া। বসে নেই জাতীয় পার্টিও। অন্যান্য দলের সম্ভাব্যপ্রার্থীদের নাম তেমনএকটা শোনা যায়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা ও বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এসব খবর পাওয়া যায়।
গাজীপুর-১
আসনে আগামী নির্বাচনে এ আসনে ক্ষমতাসীন দল একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। একই চিত্র বিএনপিতে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ, ক, ম মোজাম্মেল হক। ২০০৮ সালে পৌর মেয়র থেকে পদত্যাগ করে এ আসনে তিনি সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ২০১৪ ও আঠারো সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মিল হক এবারও এ আসনের আওয়ামী লীগের একজন শক্তিশালী মনোনয়ন প্রত্যাশী।
কালিয়াকৈর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম এ আসনে মনোনয়ন চান। বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী আসনটিতে বিএনপি'র সম্ভাব্যপ্রার্থী। তার ছেলে ব্যারিস্টার চৌধুরী ইসরাক আহমেদ সিদ্দিকী প্রার্থী হতে পারেন। বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম বাবুল বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পৌর মেয়র মজিবুর রহমানও এবারের নির্বাচনে দলীয় সম্ভাব্যপ্রার্থী। জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম মনোনয়ন চাইতে পারেন।
গাজীপুর-২
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ জাহিদ রাসেল আওয়ামী লীগের সম্ভাবনাময় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪, ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানের নামও শোনা যাচ্ছে। গাজীপুর মহানগর বিএনপি'র সাবেক সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকার এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়া গাজীপুর মহানগরেরবিএনপি'র সাবেক আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সরকার ও দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন। জাতীয় পার্টির গাজীপুর মহানগর সভাপতি এমএম নিয়াজউদ্দিন এ আসনের সম্ভাব্যপ্রার্থী। এছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও সদস্য মাহবুবুল আলম নাম প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।
গাজীপুর-৩
এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব প্রার্থী হিসেবে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ । তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়নে এখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ আসনে কৃষক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রুমানা আলী টুসি নামো শোনা যাচ্ছে। তিনি বর্তমানে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৩১৪ নম্বর সংসদ সদস্য। টুসি সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রহমত আলীর মেয়ে। এখানে রহমত আলীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জামিল হাসান দুর্জয়ের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে। বিএনপি'র কেন্দ্রীয় সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী। এছাড়া শ্রীপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান ফকিরের নাম প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টি এরশাদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম সরকার এবং গাজীপুর জেলা সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মন্ডল।
গাজীপুর-৪
এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বর্তমান সংসদ সদস্য বঙ্গতাজকন্যা সিমিন হোসেন রিমি। তিনি ২০১২ সেপ্টেম্বরে উপ নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য সবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি এখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আসন্ন নির্বাচনে একই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী সিমিন হোসেন রিমির ফুফাতো ভাই কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য আলম আহমদ। এ আসনে বিএনপি থেকে সম্ভাব্য গাজীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রিয়াজুল হান্নান। প্রয়াত বিগিডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহ ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি'র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া এ আসনে কাপাসিয়া উপজেলার মো. খলিলুর রহমান মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি এর আগে কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। এ আসনে কাপাসিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) আহ্বায়ক শামসুদ্দিন খান দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন।
গাজীপুর-৫
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক। আর বিএনপি'র একক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য এবং দলীয় কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আআফরোজ চুমকি। ২০০৯,২০১৪,এবং ২০১৮ সালে তিনি এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মহিলা ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তার পিতা ময়েজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ডাকসু সাবেক জিএস ও ভিপি ও সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান। এদিকে বিএনপির সম্ভাব্যপ্রার্থী হিসেবে রয়েছেন দলটির গাজীপুর সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এ,কে,এম ফজলুল হক মিলন। এ আসনে জাতীয় পার্টির এরশাদ সম্ভব প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খানের নাম শোনা যাচ্ছে।
এফএইচ